জামাই ষষ্ঠীর দিনেই শ্বশুড়বাড়ির সামনে ধরনায় বসলেন বৌমা! স্বামীর সঙ্গে সংসার করার দাবিতে বিজেপি নেতার বাড়ির সামনে ধরনা দিলেন তাঁর স্ত্রী। বুধবার বড় ট্রলি ব্যাগ সঙ্গে নিয়ে সোজা এসে শ্বশুরবাড়ির সামনে বসে পড়েন বধূ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় শিলিগুড়ি থানার পুলিশ। কিন্তু ওই বধূকে বুঝিয়েও আয়ত্তে আনতে পারেনি তারা।এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে শিলিগুড়িতে। বুধবার এই ঘটনাটি ঘটেছে শিলিগুড়ির ঘোঘোমালির বাদুরবাগানে।
ওই যুবতির দাবি, দার্জিলিং জেলা বিজেপি যুব মোর্চার সহ-সভাপতি সঞ্জীব ঘোষ। তিন বছর আগে তাঁর সঙ্গে প্রেম করে বিয়ে হয়েছিল শ্বেতার। কিন্তু এখন স্ত্রী'র সঙ্গে এক ছাতের তলায় থাকতে রাজি নন বিজেপি নেতা। ওই বধূর অভিযোগ, স্বামীর সঙ্গে তাঁর কাকিমার অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে। তিনি সেই সম্পর্কে বাধা দিতে গেলে, তুমুল অশান্তি শুরু হয়। তাঁকে মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ বধূর। শ্বেতা জানিয়েছেন, বিয়ের পর থেকেই কাকিমার সঙ্গে স্বামীর ঘনিষ্ঠতা দেখে অবাক হয়ে যান তিনি। বধূর আরও অভিযোগ, কাকি-শ্বাশুড়ি তাঁর স্বামী সঞ্জীবকে রোজ বাড়ির মধ্যেই মদ্যপান করাতেন। এই অভিযোগে পুলিশেরও দ্বারস্থ হন তিনি। বধূ নির্যাতনের অভিযোগ দায়ের করায়, সাতদিন জেলও খাটতে হয় ওই বিজেপি নেতাকে। গত ৭ জুন জেল থেকে ছাড়া পেয়ে বাড়ি ফেরেন সঞ্জীব। তার পরই বিবাহবিচ্ছেদের মামলা দায়ের করেন তিনি।
কিন্তু বিষয়টি জানতে পেরেই, ফের সংসার করার দাবিতে শ্বশুড়বাড়ি ফিরে আসেন শ্বেতা৷ কিন্তু তাঁকে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ৷ এরপরই শ্বশুরবাড়ির সামনে ধরনায় বসেন শ্বেতা। যদিও শ্বেতার দাবি মানতে নারাজ সঞ্জীব। শ্বেতা ঘোষ বলেন, ‘বিয়ের পর কাকি শাশুড়ির সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা নিয়ে আমি আপত্তি করি। এরপরই আমার উপর অত্যাচার শুরু হয়। আমাকে মারধর করা হয়। আমি সংসার করতে চাই। কিন্তু শ্বশুরবাড়ির লোকজনেরা আমাকে বাধা দিচ্ছে।’
তবে ওই বধূর সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিজেপি নেতা সঞ্জীব। তিনি বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ মিথ্যে অভিযোগ তুলছে শ্বেতা। উপরন্তু লকডাউনে আয় কমে যাওয়ায় আমার উপর মানসিক অত্যাচার করেছে ও। পুলিশের কাছে আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। সে কারণে জামিনে মুক্তি পেয়েই বিবাহবিচ্ছেদের মামলা করেছি আমি। ওঁকে কিছুতেই বাড়িতে ঢুকতে দেব না।’ এবার সমস্ত কিছু আইনি পথে হবে বলে জানিয়ে দেন সঞ্জীব।