শিউরে ওঠার মতো ঘটনা। স্ত্রীর প্রেমিককে গলা কেটে খুন করার অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে উঠেছে। একেবারে নৃশংসভাবে খুন করার অভিযোগ উঠেছে। আর তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে স্ত্রীকে দিয়েই তার প্রেমিককে ডেকে পাঠিয়েছিলেন স্বামী। আর তারপরই তাকে খুন করা হয় বলে অভিযোগ।নদিয়ার ধুবুলিয়ার ঘটনা। ঠিক কী হয়েছিল ঘটনাটি?
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে খবর,নদিয়ার ধুবুলিয়ার বাসিন্দা প্রহ্লাদ ঘোষের সঙ্গে নমিতা ঘোষের বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু কিছুদিন আগে স্থানীয় যুবক বাবুসোনা ঘোষের সঙ্গে নমিতার বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল। কিন্তু এই সম্পর্ককে মানতে পারেননি প্রহ্লাদ। এরপরই তৈরি হয় বাবুসোনাকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেওয়ার ছক।
নমিতাকে দিয়েই বাবুসোনাকে ডেকে পাঠায় প্রহ্লাদ। এরপর কৃষ্ণগঞ্জ থানার পীরপুরে বাড়ির কাছেই নমিতা ও প্রহ্লাদ সহ চারজন মিলে বাবুসোনাকে শ্বাসরোধ করে খুন করে। এরপর মৃত্যু নিশ্চিত করতে ধড় থেকে মাথাটিকে আলাদা করে ফেলা হয়। তারপর দেহটিকে মাথাভাঙা নদীতে ফেলে দেয় তারা। তারপর বাড়ি থেকে প্রায় ৫০০ মিটার দূরে আম বাগানের মধ্যে কাটা মুন্ডুটিকে পুঁতে দেওয়া হয়। জামাকাপড়ও পুঁতে দেওয়া হয় মাটিতে।
কিন্তু তারপরেও শেষরক্ষা হল না। কৃষ্ণগঞ্জ থানার পুলিশ তদন্তে নেমে প্রথমে প্রহ্লাদকে গ্রেফতার করে। এরপর গ্রেফতার করা হয় নমিতাকে। পুলিশি জেরায় একসময় ভেঙে পড়ে তারা। পুলিশ সূত্রে খবর, খুনের কথা কবুল করে নেয় তারা।
প্রহ্লাদকে সঙ্গে নিয়েই পুলিশ এলাকায় তল্লাশি চালাচ্ছে। তবে মৃতের জামাকাপড়ের সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। গোটা ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছে।