সরকারি চাকরি পেয়েছে স্ত্রী। আর তা সহ্য করতে পারেনি বেকার স্বামী। তাই নার্সের হাত কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠল। এমনই বিরল ঘটনা ঘটেছে পূর্ব বর্ধমান জেলার কেতুগ্রামে। তার জেরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি স্ত্রী তথা নার্স রেণু খাতুন। এই কাজ করেই পলাতক অভিযুক্ত স্বামী শরিফুল শেখ এবং তার পরিবারের সদস্যরা।
ঠিক কী ঘটেছে কেতুগ্রামে? স্থানীয় সূত্রে খবর, রেণু খাতুনের সঙ্গে ২০১৭ সালের অক্টোবর মাসে শরিফুল শেখের বিয়ে হয়। দুই পরিবারের সম্মতিতেই বিয়ে হয়। রেণুর বাবা আজিজুল হক জানান, মেয়ের বিয়েতে তিনি নগদ এক লক্ষ টাকা, আট ভরি গয়না, একটি স্কুটি এবং আরও বেশকিছু জিনিস যৌতুক হিসাবে দিয়েছিলেন। আজ মেয়ের উপর হামলা করল শরিফুল।
কেন এই ঘটনা ঘটল? পরিবার সূত্রে খবর, রেণু নার্সিং প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। তারপর সরকারি চাকরির পরীক্ষা দিয়ে সফল হন রেণু খাতুন। সম্প্রতি চূড়ান্ত পর্যায়ের পরীক্ষায় তিনি উত্তীর্ণ হন এবং প্যানেলভুক্ত হয়ে যান। শুধু চাকরিতে যোগ দেওয়ার অপেক্ষায় ছিলেন। এই বিষয়টি মেনে নিতে পারেনি স্বামী শরিফুল। সে নিজে বেকার ছিল। সেখানে স্ত্রী সরকারি চাকরি করবে জেনে হিংসায় হাত কেটে নেয়।
ঠিক কী অভিযোগ পরিবারের? রেণু খাতুনের বাবা আজিজুল হক বলেন, ‘মেয়ে আমাদের বলছিল ওকে চাকরি করতে দেবে না জামাই। এমনকী মেয়ের উপর চাপ দিচ্ছিল শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা। মেয়ে সরকারি চাকরির সুযোগ ছাড়তে চায়নি। কিন্তু ওরা এমন করবে ভাবিনি। জামাই শরিফুল শেখ, রেণু যখন শুয়ে পড়েছিল চখন দুই বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে চড়াও হয়। ধারাল অস্ত্র দিয়ে রেণুর ডান হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন করে দেয়।’ রেণুর চিৎকারে প্রতিবেশীদের ঘুম ভাঙে। রাতেই তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।