নাম অনির্বান বিশ্বাস। পেশায় দিনমজুর। বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটের সরঙ্গপুর। বৃহস্পতিবার বিকালে তিনি একেবারে পোস্টার হাতে সটান হাজির হয়ে যান বর্ধমানের গুসকরার শান্তিপুরে বউয়ের নতুন শ্বশুরবাড়ির সামনে। আসলে ২০১৯ সালে সঙ্গীতা ঘোষের সঙ্গে অনির্বানের বিয়ে হয়েছিল। মাস তিনেক পরেই সঙ্গীতা বাবার বাড়ি চলে যান। এরপর বুধবারই তিনি দীপক মণ্ডল নামে অপর যুবককে বিয়ে করে শ্বশুরবাড়িতে এসেছেন। সেকথা শুনেই বউ ফিরে পেতে দীপকের বাড়ির সামনে ধরনায় বসেন অনির্বান।
পোস্টারে লেখা টসঙ্গীতা আমি তোমাকে খুব ভালোবাসি। তুমি আমাকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে কেন অন্য়জনের সঙ্গে চলে এলে। তুমি ফিরে এসো।ট এদিকে বুধবারই নতুন স্বামীর সঙ্গে থাকা শুরু করেছেন অনির্বানের স্ত্রী। এমন সময় একেবারে পোস্টার হাতে অনির্বানকে টুল পেতে ধরনায় বসতে দেখে চোখ কপালে ওঠে সঙ্গীতার।
অনির্বান বলেন, টআমাকে বোঝাতে হবে। আমি আপ্রাণ চেষ্টা করে যাব। আমার স্ত্রী যেখানে আমি তো সেখানেই যাব। আমি শ্বশুরবাড়িতে গিয়েছিলাম সেখানে মেরেছে। আবার গেলে মারবে। এখন বউ অন্য জায়গায় বিয়ে করেছে। নতুন নতুন গল্প অনেক শোনা যাবে। বউ বলত বেশ করছি মিথ্যা কেস করব। ওদের বাড়ি থেকে প্রচুর মারধর করেছে। তারপরেও বলছি ওকে প্রচুর ভালোবাসি। ওকে ছাড়া বাঁচব না। আমার স্ত্রী দীপক মণ্ডলের সঙ্গে বিয়ে করে চলে এসেছে। বড়লোক ছেলে দেখে চলে এসেছে। ওকে এত ভালোবাসি, তবু কেন চলে এল?'
এদিকে সঙ্গীতার দাবি, ওর সঙ্গে তিনমাস সংসার করেছিলাম। নিজের ইচ্ছায় বিয়ে করেছিলাম। কিন্তু ও আমাকে খুব অত্যাচার করত। বাড়ি থেকে সোনাদানা নিয়ে আসতে বলত। আমাকে গায়ে কেরোসিন দিয়ে মারতে গিয়েছে। গলায় ফাঁস লাগাতে গিয়েছে। অনেক জ্বালাযন্ত্রনা দিয়েছে। আমি বাধ্য হয়ে বাড়ি চলে গিয়েছিলাম। আমার বাড়িতে গিয়েও জ্বালাত। কদিন আগেই বলল ওকে নাকি আমার মামা মেরে পা ভেঙে দিয়েছে। কিন্তু এ তো দিব্যি দাঁড়িয়ে রয়েছে। এটা একটা জানোয়ার ছেলে। ওর ডিভোর্সের ভরসায় বসে থাকব। নিজের ইচ্ছায় আবার বিয়ে করে ফেলেছি।' তবে শেষ পর্যন্ত পরিস্থিতি সুবিধের নয় দেখে ধরনা তুলে নেন অনির্বান।