স্বামী–স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি লেগেই থাকত। মোটেই বনিবনা ছিল না। রবিবার সকালে দুজনের মধ্যে ঝামেলা রীতিমতো চরমে ওঠে। হাঁসুয়া নিয়ে কুপিয়ে খুন করেন স্ত্রীকে। তারপরই আত্মহত্যার চেষ্টা করেন স্বামী। তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই তাঁর চিকিৎসা চলছে।
জানা গিয়েছে, বীরভূমের ময়ূরেশ্বরের ঢেকা পঞ্চায়েতের সেলাহাট গ্রামের বাসিন্দা অচিন্ত্য ভাল্লা। স্ত্রী ছবি ভাল্লা। অচিন্ত্যের সঙ্গে ছবির কোনও বনাবনি ছিল না। গত দুদিন ধরে ছেলেদের মন্ত্রণায় অচিন্ত্যকে খেতে দেননি ছবি। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুজনের মধ্যে ঝামেলা চরমে ওঠে। রবিবার রেগেমেগেই হাঁসুয়া নিয়ে স্ত্রীর ওপর ঝাপিয়ে পড়েন অচিন্ত্য। এরপর হাতের কয়েকটা আঙুল কেটে দেন তিনি। এরপর স্ত্রীকে এলোপাথারি কোপাতে থাকেন তিনি। এরপর প্রতিবেশিরা বিষয়টিকে জানতে পারে। মহিলাকে প্রথমে সাঁইথিয়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখান থেকে সিউড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এদিকে স্ত্রীকে খুন করে কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন অচিন্ত্য। কিন্তু তাঁকে কোনওরকমে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
পুলিশ ইতিমধ্যে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করছে। এই খুনের পিছনে অন্য কোনও কারণ আছে কিনা, পুলিশ তা খতিয়ে দেখছে। অচিন্ত্যবাবুর বড় ছেলে আনন্দ ভাল্লা জানান, মাকে খুনের জন্য বাবার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। ঘটনাটি ঘটার সময়ে ঠিক ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল, তা জানতে মৃতের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলবেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।