স্ত্রীর চাহিদা আকাশছোঁয়া। আর তা মেটাতে হিমশিম খায় স্বামী। আর সেই চাহিদা মেটাতে না পারলে সংসারে চলত ব্যাপক অশান্তি। এই অশান্তির হাত থেকে নিষ্কৃতি পেতে স্ত্রীকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দিলেন স্বামী। এমনকী এই খুন করতে গলায় কুকুরের বেল্ট পেঁচিয়ে স্ত্রীকে হত্যা করল স্বামী। তবে খুনের পর থানায় আত্মসমর্পণ করেছেন রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্কের সহকারী ম্যানেজার স্বামী। এই ঘটনায় কাঁকসা থানার বামুনারা এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনাটি ঘটেছে কাঁকসা থানার অন্তর্গত বামুনারা এলাকায়। একটি বহুতলে থাকতেন রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্কের সহকারী ম্যানেজার বিপ্লব পরিয়াদ এবং স্ত্রী ইপসা প্রিয়দর্শিনী। রবিবার বেশি রাতে মোটরবাইকে চড়ে কাঁকসা থানায় আসে স্বামী বিপ্লব। কাঁকসা থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিককে তিনি জানান, নিজের স্ত্রীকে খুন করেছে সে। পুলিশ তাঁকে নিয়ে বহুতলে পৌঁছয়। দরজা খুলতে ইপসা প্রিয়দর্শিনীর দেহ মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখা যায়। পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়।
এই বিষয়ে স্বামী বিপ্লব পরিয়াদ পুলিশকে জানান, তাঁরা ওড়িশার কটকের বাসিন্দা। ২০১৯ সালে কটকেরই বাসিন্দা ইপসার সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর। কাঁকসায় রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্কের সহকারী ম্যানেজার বিপ্লব। কর্মসূত্রে বামুনারার বহুতলে ভাড়া থাকেন। বিয়ের পর থেকে অশান্তি নিত্যসঙ্গী হয়ে উঠেছিল। আয়ের বেশিরভাগ টাকা স্ত্রীর চাহিদা মেটাতে খরচ হয়ে যেত। তারপরেও বিবাদ লেগে থাকত।
স্থানীয় সূত্রে খবর, রবিবারও অশান্তি হয়েছিল। তখনই মেজাজ হারান স্বামী বিপ্লব। আর স্ত্রীর গলায় পোষ্য কুকুরের বেল্ট পেঁচিয়ে খুন করে। কিন্তু পালিয়ে না গিয়ে মোটরবাইক চালিয়ে কাঁকসা থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন বিপ্লব। কাঁকসা থানা ইপসার বাপেরবাড়ির লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগ করে। কাঁকসা থানার পুলিশ বিপ্লবকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই আঁতকে উঠছেন প্রতিবেশীরা।