কাজের অছিলায় বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে প্রেমিকার স্বামীকে খুন করছিল প্রেমিক। খুন করে দেহকে বেঁধে ফেলার জন্য বস্তা ও দড়ি জোগান দিয়েছিলেন প্রেমিকা। তদন্তে নেমে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে পুলিশ। শিলিগুড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে মূল অভিযুক্তকে।
পুলিশ সূত্রে খবর, গত ১০ জানুয়ারি রাতে কাজের নাম করে ইংরেজবাজার থানার কাউরাখান মোহনপুরের বাসিন্দা সাদিকুল খানকে ডেকে নিয়ে যান নুর আলম। এরপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুন করা হয় সাদিকুলকে। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, সাদিকুলকে খুনের ঘটনায় নুরকে সাহায্য করেছিল লালচাঁদ। শুধু তাই নয়, খুনের পর সাদিকুলের দেহ বাঁধার জন্য দড়ি ও বস্তা জোগান দিয়েছিল নুরের প্রেমিকা তথা সাদিকুলের স্ত্রী শারিফা। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা এই কথা স্বীকারও করেছে। নুরের মোবাইলের দোকানের পিছনে থাকা পরিত্যক্ত সেফটিক ট্যাঙ্ক থেকে সাদিকুলের দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, সাদিকুলের কাছ থেকে টাকা ধার নিয়েছিল নুর। সেই ধারের পরিমান দাঁড়িয়েছিল প্রায় তিন লাখ টাকা। টাকা ফেরত দেওয়া নিয়ে সাদিকুলের সঙ্গে একাধিকবার ঝামেলায় জড়িয়েছিল নুর। এরইমধ্যে সাদিকুলের স্ত্রী শরিফার সঙ্গে নুরের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কও গড়ে ওঠে। পুলিশের অনুমান, সাদিকুলকে খুনের পিছনে এই বিষয়ই কাজ করেছে। উল্লেখ্য, গত ১০ জানুয়ারি নিখোঁজ হওয়ার পর ১৬ জানুয়ারি মিলকি ফাঁড়িতে অভিযোগ দায়ের করে সাদিকুলের পরিবারের সদস্যরা। এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত নুর আলমকে শিলিগুড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়াও গ্রেফতার করা হয়েছে সাদিকুলের স্ত্রী শরিফা বিবি ও নুরের বন্ধু লালচাঁদ শেখকে।