আমি অসুস্থ নই। সুস্থই আছি। আমি যে ঘোড়ায় ছিলাম, সেই ঘোড়াতেই আছি।বু ধবার এই ভাষাতেই দলীয় কর্মীদের আশ্বস্ত করলেন বীরভূমের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল।কিছুদিন আগে শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যাওয়ায় কলকাতায় তাঁকে অ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। বুধবার বিকেলে বাড়ি ফিরলেন অনুব্রত। বাড়ি ফিরেই দলীয় কর্মী সমর্থকদের উদ্দেশ্য তিনি জানিয়ে দিলেন, তাঁর করোনা হয়নি। তিনি একদম ভালোই আছেন।
এদিন নিজের মুখেই নিজের শারীরিক অবস্থার কথা ব্যাখ্যা করেন অনূব্রত। এই প্রসঙ্গে বীরভূমের জেলা সভাপতি জানান,‘ চিকিৎসকরা সন্দেহ করেছিলেন এটা করোনা। তবে আমার মনে প্রচণ্ড জোর ছিল। আমি জানতাম এটা করোনা নয়। ২০১১ সালে আমি যখন সুকুমার মুখার্জিকে দেখেছিলাম, তখন আমার বুকে দুটো প্যাঁচ ছিল।আমি নিশ্চিত ছিলাম, ওই প্যাচ করোনা নয়। তবু যখন বলল তখন অ্যাপেলোতে গেলাম। ওখানে সব রিপোর্ট করালো আর সবই নেগেটিভ। তবে আমার ভালো হলো সাতদিন ফুল চেকআপ হয়ে গেল। এই যে ভোটে খাটাখাটনি হয়েছিল সাতদিন ধরে ফুল চেকআপ হয়ে গেল।’
বীরভূমের জেলা সভাপতি হাসপাতালে ভর্তি হতেই তাঁর অনুগামীদের মধ্যে দুশ্চিন্তার পারদ বাড়তে থাকে। জেলা জুড়ে মন্দিরে মন্দিরে পুজো পাঠ শুরু হয়ে যায়। তাঁদের প্রিয় নেতার দ্রুত আরোগ্য কামনা করতে থাকেন তাঁরা। তবে এদিন সব আশঙ্কার অবসান ঘটিয়ে বীরভূমের জেলা সভাপতি জানিয়ে দিলেন, 'আমি অসুস্থ নই, আমি সুস্থ। আমি যে ঘোড়া ছিলাম, সেই ঘোড়াই আছি। আমি যে ছোটা ঘোড়া ছিলাম সেই ছোট্ট ঘোড়াই আছি।'
তবে জানা গিয়েছে, চিকিৎসকরা এখনও অনুব্রতকে আরো কয়েক দিন বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।পারিবারিক সূত্রে খবর, হাই সুগার ও প্রেশারের মতো একাধিক শারীরিক সমস্যা রয়েছে অনুব্রতের। গত ২৭ মে আচমকাই তাঁর শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। স্ত্রী প্রয়াত হয়েছেন।এ কমাত্র মেয়েকে নিয়ে বোলপুরের বাড়িতে থাকেন অনুব্রত। দলের কাজেই ব্যস্ত থাকেন তিনি।আচমকাই অসুস্থ হয়ে যাওয়ার পর তাঁর এক্স রে করানো হয়।এক্স রে–তে বুকে সংক্রমণ ধরা পড়ে। এরপরই বোলপুর থেকে তাঁকে কলকাতায় নিয়ে আসা হয়।কলকাতাতেই তাঁর চিকিৎসা চলে।