বহরমপুর খুনের ঘটনায় চার্জশিট পেশের আগে সকলের বয়ান রেকর্ডের জন্য মূল অভিযুক্ত সুশান্ত চৌধুরীকে তাঁর বাড়িতে নিয়ে যান তদন্তকারীরা। তদন্তকারীরা সুশান্তকে পরিবারের লোকের সঙ্গে দেখা করতে বলেন। কিন্তু সুশান্ত দেখা করতে চাননি। সুশান্ত স্পষ্টত জানায়, ‘আমার কেউ নেই। কারও সঙ্গে আমি কথা বলতে চাই না।’
বৃহস্পতিবার রাতে সুশান্তকে নিয়ে মালদহের ইংরেজবাজারে পৌঁছন তদন্তকারীরা। যে দোকান থেকে সুশান্ত ছুরি ও খেলনা বন্দুক কিনেছিল, সেই দোকানে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়। দোকান মালিককে দীর্ঘক্ষণ জেরা করে পুলিশ। এরপর তাঁকে সুতপার বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে সুতপার বাবার সঙ্গে তদন্তকারীদের কথা হয়। এরপর সুশান্তকে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁর পিসির বাড়িতে। কিন্তু পিসির বাড়িতে গিয়ে কারও সঙ্গে দেখা হয়নি। অনেক ডাকাডাকির পর কারও আওয়াজ পাওয়া যায়নি। সুশান্ত তখন তদন্তকারীদের জানায়, তিনি কারও সঙ্গে দেখা করতে চান না। কাজ হয়ে গেলে তাঁকে যেন তাঁরা নিয়ে যান। এই সময় দুজন প্রতিবেশি কথা বলতে এগিয়ে আসেন। কিন্তু সুশান্ত তাঁদের সঙ্গেও কথা বলেননি। অন্য দিকে তাকিয়ে চলে যান। এরপর সুশান্তকে ইংরেজবাজারে নিয়ে আসা হয়। হোটেলে রাতের খাবার খাইয়ে তাঁকে ফের থানায় নিয়ে আসা হয়।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার সুশান্তকে আদালতে পেশ করা হয়। ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় সুশান্তকে ফের আদালতে পেশ করা হয়। তদন্তকারীরা আরও ৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন করেছিলেন। কিন্তু আদালত ২ দিনের আবেদন মঞ্জুর করে। গোটা ঘটনা বহরমপুরে ঘটলেও মালদহে যাওয়া তদন্তকারীদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। হাতে যেহেতু সময় খুব কম, তাই দেরি না করে মালদহে যান তদন্তকারীরা।