বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শনে গিয়ে জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনকে ‘রাজনীতি’ বলে উল্লেখ করলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার দুপুরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, শুভবুদ্ধির উদয় হোক। আমার আর কিছু করার নেই।
আরও পড়ুন - ইস্তফা দিয়ে হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছি, এই কুচক্র-রাজের বিহিত করতেই হবে
পড়তে থাকুন - সিপি পদ খুইয়ে বিপাকে বিনীত গোয়েল, মামলা খারিজ করতে অস্বীকার করল হাইকোর্ট
এদিন মমতা বলেন, ‘আমি জুনিয়র চিকিৎসকদের বলব, এই জল কমে গেলে সাপেরাও আশ্রয় নিয়েছে ডাঙায়। সাপের কামড়, ডায়রিয়া, জ্বর এগুলো তো হবেই। আমি নিজে ফোন করেছি। মুখ্যসচিবকে বলেছি কয়েকটা জায়গায় অবিলম্বে যাতে… মেডিক্যাল ক্যাম্প যে করব, এখনও পর্যন্ত কাজে তো যোগদান হয়নি। আমি তো আমার সাধ্যমতো করেছি। এর থেকে বেশি আমার কিছু বলার নেই। আমি আশা করি শুভবুদ্ধির উদয় হবে। কারণ বন্যায় মানুষ আক্রান্ত। মানুষের প্রাণ বাঁচানো এখন আমাদের সব থেকে বড় কাজ। ২টো খাদ্য তুলে দেওয়া বড় কাজ। এই সময়টা রাজনীতির সময় নয়।’
বুধবার মুখ্যসচিবের সঙ্গে জুনিয়র ডাক্তারদের বৈঠকের পরেও অধরা রয়েছে সমাধানসূত্র। জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি, বৈঠকের কার্যবিবরণী দিতে অস্বীকার করেছে সরকার। যার ফলে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা।
জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি, মেডিক্যাল কলেজগুলি এখনও সুরক্ষিত নয়। সেখানে থ্রেট কালচারে অভিযুক্ত অনেকে বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ করতে হবে সরকারকে।
আরও পড়ুন - টালা থানার ওসিকে সাসপেন্ড করল কলকাতা পুলিশ, পাশে থাকার বার্তা স্রেফ আশ্বাস
ওদিকে এদিন বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শনে গিয়ে ডিভিসি ও কেন্দ্রীয় সরকারকে কাঠগড়ায় তোলেন মমতা। বলেন, ‘ডিভিসির জলধারণ ক্ষমতা এখন মাত্র ৩৬ শতাংশে পৌঁছেছে। কেন কেন্দ্রীয় সরকার ও ডিভিসি ড্রেজিং করবে না? ডিভিসির জলে কেন বাংলা ডুববে? আমি জানতে চাই। আমরা কৈফিয়ত চাই। বাংলা জ্বলছে আর ঝাড়খণ্ডকে সেফ রাখে। এটা তো ঠিক নয়। আমি শুনেছি কাল রাতে জলের ওপর আবার জল ছেড়েছে। ডিভিসির সঙ্গে আমরা আর কোনও সম্পর্ক রাখব কি না আমাদের সন্দেহ আছে। আমি সব সম্পর্ক কাট আপ করে দেব।’