সন্দেশখালিতে জমি দখল ও নারী নির্যাতনের অভিযোগ সত্যি হলে এতদিন কেন প্রকাশ্যে আনেনি সিপিএম ও বিজেপি? এই যুক্তি খাড়া করে অমানবিক নির্যাতন ও ধর্ষণের দায় বিরোধীদের ঘাড়ে ঠেলার মরিয়া চেষ্টা করছে তৃণমূল তখন মুখ খুললেন গ্রেফতার হওয়া সিপিএমের প্রাক্তন বিধায়ক নিরাপদ সরদার। সোমবার তাঁকে হেফাজতের মেয়াদ শেষে আদালতে পেশ করা হলে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, সন্দেশখালিতে জমি লুঠের কথা ১০০ বার বিধানসভায় জানিয়েছি।
আরও পড়ুন: দিব্যেন্দু কি বিজেপিতে যোগ দেবেন? প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ হতে চলেছে তৃণমূল সাংসদের
সোমবার সন্ধ্যায় আদালত থেকে জেল হেফাজতে যাওয়ার সময় নিরাপদবাবু বলেন, ‘চরম অন্যায় হচ্ছে। সব জানিয়েছি। সব জানিয়েছি বিধানসভাতে আমি। জমি লুঠ হয়েছে, সব জানিয়েছি। জমি লুঠ করেছে যারা বাইরে ঘুরে বেড়াচ্ছে। বিধানসভায় ১০০ বার জানিয়েছি। ২০১৩ – ১৪ সালে শাহজাহানদের বিরুদ্ধে, তৃণমূলের বিরুদ্ধে জানিয়েছি। জমি লুঠ হয়েছে, বিধানসভায় জানিয়েছি’।
সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে তৃণমূলের তরফে একাধিকবার দাবি করা হয়, এতবড় অপরাধ ওখানে ঘটে থাকলে এতদিন কেন প্রকাশ্যে আনেনি সিপিএম ও বিজেপি? ২০১৬ সাল পর্যন্ত সন্দেশখালিতে সিপিএমের বিধায়ক ছিলেন নিরাপদ সরদার। তিনি কেন বিধানসভায় এই প্রসঙ্গ তোলেননি? তৃণমূলের এলি, তেলি, গঙ্গা - তেলি নেতারা তো বটেই, এই যুক্তিকে হাতিয়ার করেছেন দলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। এদিন সিপিএমের প্রাক্তন বিধায়ক তথা কৃষক ও ক্ষেতমজুর আন্দোলনের নেতা নিরাপদ সরদার স্পষ্ট করে দিলেন, বিধানসভায় বার বার বিষয়টি উত্থাপন করলেও কর্ণপাত করেনি সরকার।
আরও পড়ুন: সন্দেশখালি যাওয়ার পরিকল্পনা ভেস্তে গেল, গ্রেফতার হলেন নওশাদ সিদ্দিকী
তবে রাজনৈতিক মহলের মতে, নিজেদের কীর্তির দায় বিরোধীদের ওপর চাপাতে এসব ছেঁদো যুক্তি খাড়া করছে তৃণমূল। নিজেরাই শেখ শাহজাহান ও তার বাহিনীকে যথেচ্ছাচার করার সুযোগ দিয়ে এখন দায় চাপাতে চাইছে বিরোধীদের ওপরে। সরকারে থেকে নিজেদের দলের নেতা কর্মীদের কীর্তি নিজেদেরই জানা নেই বলে আসলে অপদার্থতার পরিচয় দিচ্ছেন তৃণমূল নেতারা। তাছাড়া সর্বোচ্চ স্তর থেকে নির্দেশ না থাকলে সন্দেশখালি থানার পুলিশ বছরের পর বছর নিষ্ক্রিয় রইল কেন? কেন অভিযোগ জানাতে গেলে তারা সাধারণ মানুষকে পাঠিয়ে দিত অভিযুক্ত শেখ শাহজাহান বা তার বাহিনীর কাছে?