বালির দুই গৃহবধূকে ‘অপহরণ’ করার অভিযোগে ধৃত রাজমিস্ত্রি সুভাষ ও শেখরকে বৃহস্পতিবারই ১৪ দিনের জেল হেফাজত দিয়েছে হাওড়া জেলা আদালত। নিশ্চিন্দার দুই বধূ অনন্যা এবং রিয়া কর্মকার যদিও জানিয়েছিলেন যে নিজেদের ইচ্ছেতেই সুভাষ ও শেখরের সঙ্গে গিয়েছিলেন তাঁরা। তা সত্ত্বেও ৩৬৫ ও ৩৬৬ ধারায় অপহরণ মামলা দায়ের হয়েছে দুই রাজমিস্ত্রির বিরুদ্ধে। পলাতক বধূদের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতেই এই মামলা দায়ের হয়েছিল। তবে বধূরা পুলিশকে জানিয়েছেন যে তাঁরা স্বেচ্ছায় গিয়েছিলেন। অনেক মহলেই তাই প্রশ্ন উঠেছে, ‘অপহৃতদের’ বয়ানের পর কেন জামিন খারিজ করা হল ধৃত দুই রাজমিস্ত্রির?
পুলিশ জানতে পেরেছিল যে দুই বধূ বাজারে যাওয়ার অজুহাতে বাড়ি ছাড়েন। মুম্বইতে পালিয়ে যান তাঁরা। সেখান থেকে ফেরার পথেই তাঁদের আসানসোল স্টেশনে আটক করা হয়। তবে কর্মকার পরিবারের তরফে অপহরণের অভিযোগ করা হলেও অনন্যা এবং রিয়া দাবি করেন, তাঁদেরকে অপহরণ করেননি দুই রাজমিস্ত্রি। জানা গিয়েছে, দুই বধূর একজন পুলিশকে জানান, তিনি শেখরকে ভালোবাসেন। এদিকে স্ত্রীদের এই বয়ানে স্তব্ধ স্বামীরা।
অনন্যা পুলিশকে জানিয়েছেন, আট বছর আগে পলাশের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু তাঁদের কোনও সন্তান হয়নি। একেবারেই সময় দিতেন না স্বামী। একইসুরে কর্মকার বাড়ির বউ রিয়া জানান, তাঁকে সময় দিতেন না স্বামী। অভিযোগ, গত ১৫ ডিসেম্বর শ্রীরামপুরে শীতের পোশাক কিনতে যাওয়ার নাম করে শেখরের সঙ্গে দেখা করেন অনন্যা ও রিয়া। সেখানেই পালানোর পরিকল্পনা করেন তিনজন।
জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদের সুতি এলাকা থেকে কর্মকার পরিবারে রাজমিস্ত্রির কাজ করতে এসেছিলেন সুভাষ এবং শেখর। তাঁদের দু’জনের সঙ্গেই প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে দুই বধূর। অনন্যা এবং রিয়াকে মোবাইলও কিনে দিয়েছিল সুভাষ এবং শেখর। সেই মোবাইল টাওয়ার ট্র্যাক করেই আটক করা হয়েছিল তাঁদের।