নবান্নে বাড়ি ফেরার কথা ছিল। সেই শ্যামল দাস ফিরলেন নিজের গ্রামে। সেই সরু রাস্তা, দোকান, বাজার, স্কুল, গ্রামের মানুষ সবই আছে আগের মতো। শুধু চলে গেলেন শ্যামল। ফুলে ঢাকা গাড়িতে গ্রামে ফিরল তাঁর নিথর দেহ। রাস্তার দুধারে ফুল হাতে অগণিত মানুষ। বীর সন্তান শহিদ শ্যামল দাসকে এভাবে শেষ শ্রদ্ধা জানালেন বাসিন্দারা। মণিপুরে জঙ্গিহানায় শহিদ হয়েছেন তিনি। অসম রাইফেলসেও জওয়ান ছিলেন তিনি। তাঁর এভাবে চলে যাওয়া মানতে পারছে না গোটা গ্রাম। মুর্শিদাবাদের খরগ্রামের কীর্তিপুর গ্রামে যখন আসে ফুলে ঢাকা গাড়িটি তখন শুধুই কান্নার রোল।
তাঁর ছোটবেলার বন্ধু থেকে আত্মীয়, প্রিয়জনেরা কান্নায় ভেঙে পড়েন অনেকেই। গোটা গ্রাম চাইছে শ্যামলকে যারা কেড়ে নিয়েছে তাদের শাস্তি হোক। শ্যামল দাসের বন্ধুরা জানিয়েছেন, ছুটিতে বাড়ি এলে সকলের সঙ্গে মিশে যেতেন। সবার সুখ দুঃখের খবর নিতেন। ছেলের চাকরির সুবাদে আস্তে আস্তে ঘুরে দাঁড়াচ্ছিল পরিবারটি। কিন্তু সেই শ্যামলই চলে গেলেন চিরদিনের জন্য। আমার স্বামীকে যারা হত্যা করেছে তাদের শাস্তি চাই, বলছেন শ্যামলের স্ত্রী। একটা সরকারি চাকরির আবেদনও করেছেন তিনি।
এদিকে এদিন শ্যামলের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাতে গ্রামে এসেছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী আখরুজ্জামান, খড়গ্রামের বিধায়ক আশিস মার্জিত, মুর্শিদাবাদের জেলাশাসক শরদকুমার ত্রিবেদী সহ অনেকেই। অগণিত মানুষ চোখের জলে শেষ বিদায় জানালেন শ্যামলকে। পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে।