যে কোনও সময় খুন হয়ে যেতে পারি। দলের একাংশকে কাঠগড়ায় তুলে ফেসবুক লাইভে কান্নায় ভেঙে পড়লেন কোচবিহারে হাড়িভাঙা পঞ্চায়তের তৃণমূল প্রধান।এনিয়ে তুমুল শোরগোল জেলা তৃণমূলে। ঠিক কী বলেছেন তিনি?
তিনি জানিয়েছেন, নমস্কার আমি শঙ্কর দেবনাথ। কোচবিহারের হাড়িভাঙা পঞ্চায়েতের প্রধান। এদিন যখন আমি গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে যাই তখন আমি শুনতে পাই আমাকে নাকি মারা হবে। আমি এরপর বিডিওকে মেসেজ করি।একদল সমাজবিরোধী দুষ্কৃতী যারা পার্টির নাম করে নানা দুষ্কর্ম করে তারা আমার অফিসে ঢুকে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। মানসিক নির্যাতন করে। শারীরিকভাবে মারতে যায়। এরপরই ফুঁপিয়ে কাঁদতে থাকেন তিনি।
প্রধান বলেন, আমি সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে বলতে চাই কী করে আমি মানুষের কাজ করব? এভাবে মানুষের কাজ করতে পারছি না। এর আগেও কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। কোনওরকম অ্য়াকশন নেওয়া হয়নি। পুলিশ থাকাকালীনও আমাকে হেনস্থা করেছে।আমাকে মানসিকভাবে অত্যাচার করা হচ্ছে। ঘটনার সময় অঞ্চল সভাপতি উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু তাঁর নিরবতা কষ্ট দিয়েছে আমাকে।
তাঁর কাতর আর্তি, জেলা তৃণমূলের কাছে আনুরোধ যেভাবে উন্নয়নের কাজে বাধা দেওয়া হচ্ছে প্লিজ পাশে দাঁড়ান। জেলা নেতৃত্বের কাছে অনুরোধ আমাকে দিয়ে যদি কাজ না হয় তবে ইস্তফা দেব। আমি যে কোনও মুহূর্তে খুন হতে পারি। আমি রাস্তায় খুন হতে পারি। আমার বাবা মা আছে। তাঁদের দেখার দায়িত্ব আমার। আমি বাঁচতে চাই। মানুষের জন্য কাজ করতে চাই। কান্নায় ভেঙে পড়েন প্রধান।