নৈরাজ্যের বাংলাদেশে হিন্দু বিরোধী হিংসার মধ্যে প্রাণ বাঁচাতে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করলেন কয়েক শ' শরণার্থী। বিএসএফের চেষ্টায় তাদের রোখা গেলেও সীমান্ত ছাড়তে রাজি নয় তারা। বুধবার সকালে এই ঘটনা জলপাইগুড়ি জেলার মানিকগঞ্জের সাতকুড়া সীমান্তে। সীমান্তের ওপারে থাকা বাংলাদেশিদের দাবি, বিএসএফ আমাদের গুলি করে মেরে ফেলুক, কিন্তু বাংলাদেশে আর ফেরত যাব না।
আরও পড়ুন - ওখানে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার হলে এখানে প্রতিক্রিয়া হতে পারে: দিলীপ ঘোষ
পড়তে থাকুন - বাংলাদেশে হিন্দুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ করুক ভারত সরকার: VHP
বাংলাদেশে অরাজকতার জেরে সীমান্তে সর্বোচ্চ পর্যায়ের সতর্কতা জারি রয়েছে। মোতায়েন হয়েছে বাড়তি বিএসএফ জওয়ান। এরই মধ্যে বুধবার সকালে সাতকুড়া এলাকার বাসিন্দারা দেখতে পান কাটাতারহীন সীমান্তের ওপারে জড়ো হয়েছেন শয়ে শয়ে শরণার্থী। ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করছেন তাঁরা। সঙ্গে সঙ্গে বিএসএফকে খবর দেন তারা। বিএসএফ তাদের ভারত ভূখণ্ডে ঢুকতে বারণ করে। তার পর সেখানেই অবস্থানে বসে পড়েন শরণার্থীরা। কোনও পরিস্থিতিতেই তাঁরা আর বাংলাদেশে ফিরে যাবেন না বলে জানিয়ে দেন। এমনকী ভারতে ঢুকে তারা বিএসএফের গুলি খেতে তৈরি বলেও মন্তব্য করেন।
শরণার্থীদের নিরস্ত করে আধিকারিকদের খবর দেন বিএসএফ জওয়ানরা। এর পর একে একে ঘটনাস্থলে পৌঁছতে শুরু করেন আধিকারিকরা। বাংলাদেশি সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর সঙ্গে বৈঠক করেন তাঁরা। শরণার্থীদের নিজেদের দেশে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে অনুরোধ করে।
আরও পড়ুন - আমিষ খাওয়া ছেড়ে দিয়েছি, ঘোষণা করে কারণ জানালেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি
জলপাইগুড়ি জেলার অন্তর্গত সাতকুড়া তিন দিক বাংলাদেশ দিয়ে ঘেরা। একমাত্র রাস্তা দিয়ে হলদিবাড়ির সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়। সীমান্তের ওপারে রয়েছে বাংলাদেশের মালকাডাঙা। সীমান্তের বেশ কছুটা অংশে এখনও কাটাতারের বেড়া দেওয়া হয়নি। সেখানে রয়েছে চাষের জমি। সেখান দিয়েই আজ ভারতে প্রবেশের চেষ্টা শরণার্থীদের।