রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে বেতন বাড়ানোর দাবি তুললেন আশা ও আইসিডিএস কর্মীরা। তাঁদের মাসিক ২১,০০০ টাকা বেতন চাই বলে দাবি তোলা হয়েছে। পাশাপাশি বোনাসের দাবি–সহ রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের বাজেটে বঞ্চনার প্রতিবাদে জলপাইগুড়ি জেলাশাসকের দফতরে বিক্ষোভ দেখালেন আশা ও আইসিডিএস কর্মীরা। আর এই দাবি মানা না হলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামারও ডাক দিলেন তাঁরা। তা নিয়ে উত্তেজনা ছড়ায় জলপাইগুড়ি জেলাশাসক দফতরে। কয়েকদিন আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বীরভূমের আমোদপুরের সভা থেকে বলেছিলেন, ‘আপনাদের যাঁরা ভুল বোঝাচ্ছেন, যদি প্রকল্প বন্ধ হয় তাঁদের কিছু যায়–আসে না। আপনাদের ক্ষতি হয়ে যাবে।’
মঙ্গলবার আশা ও আইসিডিএস কর্মীরা জলপাইগুড়ির সমাজপাড়ায় জমায়েত হন। তারপর জেলাশাসক দফতর পর্যন্ত মিছিল করেন। মাসিক ২১,০০০ টাকা বেতন, বোনাস–সহ একাধিক দাবিতে স্মারকলিপি জমা দেন। তারইমধ্যে তাঁদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি বেঁধে যায়। তার জেরে উত্তেজনা ছড়ায় জেলাশাসক দফতরে। পশ্চিমবঙ্গ আশা ইউনিয়নের জেলা সেক্রেটারি চুমকি দাস বলেন, ‘আগেও আমরা আমাদের দাবি–দাওয়া নিয়ে অনেকদিন থেকেই সরব হয়েছি। আইন অমান্য আন্দোলন করেছি। কিন্তু তারপরেও আমাদের দাবি সরকারের কানে পৌঁছায়নি।’
এমনকী প্রশাসনের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগেও সরব হয়ে চুমকি দাস তোপ দাগেন, কোভিড যোদ্ধা হিসেবে কাজ করতে গিয়ে অনেক আশা এবং আইসিডিএস কর্মী আক্রান্ত হয়েছেন। তা সত্ত্বেেও এখনও পর্যন্ত অনেকে পারিশ্রমিক পাননি। আইন মোতাবেক বোনাসও দেওয়া হয়নি। তাই মাসিক ২১,০০০ টাকা বেতনের পাশাপাশি ১০,০০০ টাকা পেনশনের দাবিও করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে আশা–কর্মীদের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘আপনাদের চাকরিটা প্রকল্প। সরকারি চাকরি নয়। কেন্দ্র সব টাকা বন্ধ করে দিয়েছিল। আমরাই প্রথমে মাসে ১,৫০০ ও ২,০০০ টাকা করেছি। পরিষেবা দিয়ে একটা টাকা আপনারা পান। আপনাদের স্বাস্থ্যবিমায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সাইকেল দিয়েছি, মোবাইল দিয়েছি। ভুল পথে কেউ পা দেবেন না।’