কোভিড অতিমারির জেরে দীর্ঘ প্রায় দু’দিন বন্ধ ছিল স্কুল, কলেজ। বন্ধ ছিল অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলিও। তবে রাজ্যে গত ১ মার্চ থেকে চালু হয়েছে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলি। তবে এরপর থেকেই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলির পরিকাঠামোর অভাব চোখে পড়েছে বারবার। কোথাও গাছের তলায় তো কোথাও মন্দিরে হচ্ছে অঙ্গনওয়াড়ির কাজ। আর এবার নবদ্বীপে অঙ্গনওয়াড়ির রান্না হতে দেখা গেল রাস্তার ধারে অস্বাস্থ্যকার পরিবেশে।
জানা গিয়েছে, পরিকাঠামোর অভাবে ইতিমধ্যেই পড়াশোনা বন্ধ হয়েছে। অপরদিকে জায়গার অভাবে নদিয়ার নবদ্বীপের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে রাস্তাতেই রান্না হচ্ছে অঙ্গনওয়াড়ির খাবার। জানা গিয়েছে, প্রথমে অঙ্গনওয়াড়ির জন্য ওই ওয়ার্ডের ইচ্ছাময়ী জিএসএফপি নামক স্কুলের একটি ঘর দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল রাজ্য সরকার। পরে মেরামতির জন্য স্কুল বন্ধ হলে পাশ্ববর্তী একটি স্কুলে সরানো হয় অঙ্গনওয়াড়ির কাজ। প্রায় চারদিন আগে সেই স্কুল থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের। বলা হয়, সেখানে আর রান্না করা বা ক্লাস নেওয়া যাবে না। কারণ ঘরে রান্না করার জন্য নাকি ক্লাসরুমের দেওয়ালের রং নষ্ট হচ্ছে।
এই আবহে অঙ্গনওয়াড়ির রান্না হচ্ছে রাস্তার ধারে। সেন্টারে ২৫ জন বাচ্চা পড়াশোনা করে এবং প্রায় ৪৫ জন খাবার নেন। পড়ুয়াদের অভিভাবক এবং গর্ভবতী যে নারীরা এই অঙ্গনওয়াড়ির থেকে খাবার নেন, তারা স্বভাবতই চিন্তিত। এদিকে ইচ্ছাময়ী জিএসএফপি স্কুলে ফিরে যাওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেন অঙ্গনওয়াড়ির কর্মীরা। তবে সেই স্কুল কর্তৃপক্ষও এখন আর অঙ্গনওয়াড়ির জন্য ঘর ছাড়তে নারাজ। এই আবহে আরও কতদিন এভাবে রাস্তার পাশে অস্বাস্থ্যকর পরিস্থিতিতে অঙ্গনওয়াড়ির রান্না চলবে, তা জানা নেই কারও।