পুলিশ না থাকলে এদের চামড়া ছাড়াতে আমাদের এক মিনিট লাগে না। প্রতিবাদীদের মিছিলে তৃণমূলের হামলার পালটা সভা করতে কোচবিহারের মাথাভাঙায় গিয়ে এই ভাষাতেই তৃণমূলকে আক্রমণ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মঙ্গলবার মাথাভাঙায় শুভেন্দুবাবুর নেতৃত্বে মিছিল করে বিজেপি। মিছিলে হাজির ছিলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক।
আরও পড়ুন - আরজি কর কাণ্ডের একমাস পর এখনও ধৃত সঞ্জয়ই মূল অভিযুক্ত! কীভাবে এগিয়েছে CBI?
পড়তে থাকুন - 'টাকার কথা বলিনি' মিথ্যেবাদী মুখ্য়মন্ত্রী, মমতার ভিডিয়োতে প্রমাণ দিলেন শুভেন্দু
শুভেন্দুবাবু বলেন, ‘লোকসভা নির্বাচনের পরে আপনাদের ওপরে বিপুল আক্রমণ হয়েছে। কোথাও বাকি রাখেনি। এই গুন্ডা তৃণমূল, তারা জোর করে মাথাভাঙাতে ২ জন পঞ্চায়েতকে দল বদল করতে বাধ্য করেছেন। আমি তো চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলি পুলিশ বাবা পার করেগা। পুলিশ যদি এদের সঙ্গে না থাকে না, এদের চামড়া তুলে ডুগডুগি বাজাতে কোচবিহারের লোকের ১ মিনিট সময় লাগবে না।’
এদিনের সভায় শুভেন্দুবাবু ছাড়াও হাজির ছিলেন তার সাথে উপস্থিত ছিলেন কোচবিহারের বিধায়ক মিহির গোস্বামী, মালতী রাভা রায়, নিখিল রঞ্জন দে, সুশীল কুমার বর্মন, বরেন বর্মনসহ বিজেপির একাধিক নেতা। পচাগড় মোড় থেকে মিছিল করে এসে মাথাভাঙ্গা চৌপথিতে সভা করেন শুভেন্দু।
তিনি বলেন, পুলিশ দলদাসে পরিণত হয়েছে। পুলিশের উপর থেকে সাধারণ মানুষের ভরসা উঠে যাচ্ছে। তাই সাধারণ মানুষ নিজের বিচার নিজের অধিকার নিজের পাওনা এবং সুবিচার নিজেরাই দাবি করছেন। একই সঙ্গে কোচবিহারের জেলা পুলিশ সুপারকেও চটি চাটা বলে কটাক্ষ করেন তিনি।
চৌঠা সেপ্টেম্বরের ঘটনাকে সম্পূর্ণ উদ্দেশপ্রণোদিত বলে মন্তব্য করেন শুভেন্দু অধিকারী। সাধারণ মানুষকে একজোট করে লড়াইয়ের আহ্বান জানান তিনি। সেইসঙ্গে ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসকে উৎখাত করা আছে আহ্বান জানান শুভেন্দু।
আরও পড়ুন - রায় নয়, সঞ্জয় রাই; RG করের অভিযুক্ত আদতে বিহারের লোক, দাবি মমতার, ‘হাওড়ারও…’
গত ৪ সেপ্টেম্বর কোচবিহারের মাথাভাঙায় প্রতিবাদীদের রাত দখলের কর্মসূচিতে হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। হামলা হয় শহরের মঞ্চাভিনেতা ও শিল্পীদের ওপরে। মুছে দেওয়া হয় রাস্তায় আঁকা গ্রাফিতি। ব্লক তৃণমূল সভাপতি নিজে দাঁড়িয়ে থেকে হামলা পরিচালনা করেন বলে অভিযোগ। ওই ঘটনায় ২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।