দলত্যাগীদের নেতাদের নিয়ে আবারও আক্রমণের সুর চড়ালেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দাবি করলেন, ‘কালো' টাকা ‘সাদা’ করতেই বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন কয়েকজন নেতা। সঙ্গে তাঁদের টাকা গচ্ছিত রাখার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তাই বিজেপিকে 'ভারতীয় জাঙ্ক পার্টি'-কে অভিহিত করলেন মমতা।
নদিয়ার রানাঘাট মহকুমার হাবিবপুরের ছাতিমতলায় জনসভায় আগাগোড়া বিজেপিকে নিশানা করেন মমতা। অভিযোগ করেন, সিবিআই-ইডি'র জুজু দেখিয়ে অন্যান্য দলের নেতাদের নিজেদের দলে টানছে বিজেপি শিবির। এতদিন তৃণমূলের তরফে ‘ওয়াশিং মেশিন’ বলে যে কটাক্ষ করা হচ্ছিল, সেই রেশ ধরে সোমবার বিজেপিকে ‘ডাস্টবিন’ বলেন মমতা। দাবি করেন, কেউ টাকা আত্মসাৎ করে বিজেপিতে যোগ দিলেই তাঁদের দোষ মাফ হয়ে যায়।
মমতার কথায়, ‘সারাদেশে একনায়কতন্ত্র চলছে। কাউকে সিবিআই দেখিয়ে, কাউকে ইডি দেখিয়ে (দলে টানছে)। তাঁদের কোনও দোষ নেই। এমনি এমনি একটা কাগজ তৈরি করছে। যে কাগজ কোর্টে গিয়ে হারবে। কোনও ভ্যালু (গুরুত্ব) নেই। আগামিদিন দেখে নেবেন, মিলিয়ে নেবেন। শুধুমাত্র মানুষকে জব্দ করার জন্য..।’
এমনিতেই যত বিধানসভা নির্বাচন এগিয়ে আসছে, তত তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়ার হিড়িক পড়েছে। এমনকী যে নেতাদের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানাতেন বিজেপির নেতারা, দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে, তাঁদেরও গেরুয়া শিবিরে ‘বরণ’ করে নেওয়া হয়েছে। এমনকী শুভেন্দু অধিকারী গেরুয়া শিবিরে যোগ দেওয়ার পর বিজেপির অ্যাকাউন্ট থেকে নারদের ভিডিয়ো গায়েব হয়ে যায়। সেই রেশ ধরে মমতা বলেন, 'এই যে কয়েকজন গিয়েছেন, কেন গিয়েছেন বলুন তো? অনেক টাকা করেছে। কাউকে ইডির ভয় দেখিয়েছে, কাউকে সিবিআইয়ের ভয় দেখিয়েছে। এইসব ভয় দেখিয়ে বলেছে, যদি টাকা রাখতে চাও, তাহলে বিজেপিতে যাও, যদি কালো টাকা সাদা করতে চাও, তবে বিজেপিতে যাও, যদি দু'নম্বরি করতে চাও, তবে বিজেপিতে যাও, যদি টাকা মারতে চাও, তাহলে বিজেপিতে যাও। বিজেপিতে একেবারে জাঙ্ক পার্টি হয়ে গিয়েছে। ভারতীয় জাঙ্ক পার্টি সমস্ত ডাস্টবিনের মধ্যে সব ফেলে দিচ্ছে।আর সেই ডাস্টবিন থেকে বিজেপি করলে সাত খুন মাফ। অন্যরা করলে বন্ধ ঝাঁপ। সব চোর।'