বাংলাদেশের অন্তর্বতী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনুসকে হুঁশিয়ারি দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। বাংলাদেশের হিন্দুদের উপরে অত্যাচার এবং বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণদাসের গ্রেফতারির প্রতিবাদে সোমবার বনগাঁর পেট্রাপোল সীমান্তে যে সভার আয়োজন করা হয়, সেখান থেকে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘ইউনুস হুঁশিয়ার, একদিনে শুধু কলকাতায় যে আবর্জনা বের হয়, ওটা ফেলে দিয়ে এলেই না ঢাকা পড়ে যাবেন আপনি। পাঙ্গা নিতে আসবেন না।’
ভুলে যাবেন না….ইউনুসকে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর
সেখানেই থামেননি শুভেন্দু। বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে কিছুটা দাঁড়িয়ে ইউনুস সরকারকে ইতিহাস স্মরণ করিয়ে দেন পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা। তিনি জানান, ১৯৭১ সালে ১৭,০০০ ভারতীয় জওয়ান আত্মবলিদান দিয়ে এই বাংলাদেশ তৈরি করে দিয়ে গিয়েছেন। ভুলে যাবেন না। কেউ যদি অতীত ভুলে যান, তাঁর ভবিষ্যৎ ভালো হয় না। ভালো হতে পারে না ভবিষ্যৎ।
'আলু, পেঁয়াজ কীভাবে খায় বাংলাদেশ, দেখিয়ে দেব'
আর ভবিষ্যৎ ভালো করতে চাইলে এখনই বাংলাদেশকে শুধরে যেতে হবে বলেও হুংকার দেন শুভেন্দু। তাঁর কথায়, 'আমরা ঘোষণা করেছিলাম যে আজ পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে আজ বাণিজ্য বন্ধ থাকবে। আজ সকাল ছ'টা থেকে বাণিজ্য বন্ধ আছে। এটা ২৪ ঘণ্টা চলবে। আগামিকাল সকাল ছ'টা পর্যন্ত (এটা চলবে)।'
পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা আরও বলেন, 'এটা ট্রেলার দেখিয়ে গেলাম। অত্যাচার বন্ধ না হলে এবং অত্যাচার বন্ধ না হলে এর পরের সপ্তাহে আমরা পাঁচদিন বন্ধ করব। তারপর ২০২৫ সালে আমরা লাগাতার বন্ধ করে ওরা আলু, পেঁয়াজ কীভাবে খায়, সেটা দেখিয়ে দেব। আমাদের নাম ভারতবর্ষ।'
মমতাকে কটাক্ষ শুভেন্দুর
শুভেন্দু যেদিন সেই মন্তব্য করেন, সেদিনই পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, বাংলাদেশে যা পরিস্থিতি, তাতে সেখানে রাষ্ট্রসংঘের শান্তিরক্ষা বাহিনী পাঠানো উচিত। যদিও তা নিয়ে শুভেন্দু পালটা দাবি করেছেন, যখন শেখ হাসিনাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশে প্রতিবাদ চলছিল, সেইসময় আক্রান্তদের পশ্চিমবঙ্গে ঠাঁই দেওয়ার কথা বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। আর এখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে দায়িত্ব ঠেলছেন বলে কটাক্ষ করেন শুভেন্দু।
এমনিতে পেট্রাপোলে যে মঞ্চ থেকে শুভেন্দু সেইসব মন্তব্য করেছেন, তা অরাজনৈতিক মঞ্চ ছিল। সনাতনী সংগঠনের পক্ষ থেকে সেই সভার আয়োজন করা হয়। সেখানকার সাধুরা বলেন, ‘সনাতনীদের এক হতে হবে। বাংলাদেশে অবিলম্বে হিন্দুনিধন যজ্ঞ বন্ধ করতে হবে। পরের শুনানিতেই চিন্ময় প্রভুকে মুক্তি দিতে হবে।’