আন্ডারগ্রাউন্ডে থেকে অতর্কিতে হামলা, অপহরণ, খুন, হুমকি সহ নানা অভিযোগ বার বারই উঠেছে কামতাপুরী লিবারেশন অর্গানাইজেশনের সদস্যদের একাংশের বিরুদ্ধে। পৃথক রাজ্যের দাবিতে আন্দোলনে নেমে এভাবে সশস্ত্র আন্দোলনে জড়িয়ে গিয়েছিলেন তাঁরা। কালক্রমে তাদের সংগঠনের সঙ্গেও জুড়ে গিয়েছিল জঙ্গি তকমা। এমনকী ভুটান পাহাড়েও আত্মগোপন করেছিলেন কেএলওদের একাংশ। পরবর্তীতে সেই কেএলও সদস্যদের অনেকেই সরকারি নানা পুনর্বাসনে প্রকল্পে উৎসাহিত হয়ে অস্ত্র ছেড়ে সমাজের মূল স্রোতে ফিরে আসতে শুরু করেন। সরকারও ধাপে ধাপে তাদের চাকরি দেওয়ার, অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করার চেষ্টা করে। কিন্তু সেখানেও থেকে গিয়েছে বঞ্চনার নানা অভিযোগ। চাকরি পেয়েছেন অনেকেই। কিন্তু বহু প্রাক্তন কেএলও এখনও চাকরি পাননি বলে অভিযোগ। এবার জোটবদ্ধ হচ্ছেন তারা। এমনটাই সূত্রের খবর।
ইতিমধ্যে জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশের কার্যালয়ে স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন প্রাক্তন কেএলও জঙ্গি ও প্রাক্তন লিংকম্যানরা। তাঁদের সাফ কথা একমাসের মধ্যে নিয়োগপত্র দিতে হবে। না হলে ফের সক্রিয় হবে জঙ্গি শিবির। একটা সময় সশস্ত্র আন্দোলনে যোগ দিতে ঘরবাড়ি ছেড়ে পাহাড়ে, জঙ্গলে আশ্রয় নিয়েছিলেন তাঁরা। তবে সরকারি আশ্বাসে এখন তাঁরাই ফিরে এসেছেন সমাজের মূল স্রোতে। তাঁদের অভিযোগ কথা রাখেনি সরকারপক্ষ। ৮০০ জনের মধ্যে ৪০০জনের চাকরি হয়েছে। বাকিরা চরম আর্থিক দুরবস্থার মধ্যে রয়েছেন। এক প্রাক্তন কেএলওর দাবি, ৪৪২জন এখনও চাকরি পাননি। ভোটের আগে থেকে আমরা বিভিন্ন মহলে ঘুরছি। একমাসের মধ্যে নিয়োগপত্র না পেলে ফের জঙ্গি শিবিরে চলে যাব। তবে পুলিশ সূত্রে খবর, কয়েকজনের কাগজপত্রে সমস্যা রয়েছে। সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এদিকে কেএলও নেতা জীবন সিংহের কথায় উদ্বুদ্ধ হয়ে একদিন হাতে অস্ত্র তুলে নিয়েছিলেন তাঁরা। সেসব আজ অতীত। তবে এবার চাকরি না পেলে কার্যত সেই জঙ্গি শিবিরে ফিরে যাওয়ার হুঁশিয়ারিই দিচ্ছেন তাঁরা। আর এতেই অশান্তির সিঁদুরে মেঘ জমছে উত্তরবঙ্গের আকাশে।