পানীয় জলে আর্সেনিকের মাত্রা কত? জল কতটা পানযোগ্য? এবার তা নির্ধারণ করবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স। এমনই এক মডেল তৈরি করলেন আইআইটি খড়গপুরের গবেষকরা।
আইআইটি খড়গপুরের মুখপাত্র জানিয়েছেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) ব্যবহার করে গাঙ্গেয় বদ্বীপজুড়ে বেশি এবং কম আর্সেনিক জোন চিহ্নিত করেছেন গবেষকরা। কতজন মানুষ আর্সেনিকের কবলে আছেন, তাও নির্ধারণ করা হয়েছে। গবেষণাপত্রটি সম্প্রতি আন্তর্জাতিক জার্নাল ‘Science of The Total Environment’-এ প্রকাশিত হয়েছে।
এক গবেষক মধুমিতা চক্রবর্তী বলেন, ‘গাঙ্গেয় বদ্বীপের অর্ধেকের বেশি অঞ্চলের ভূগর্ভস্থ জলে আর্সেনিকের মাত্রা বেশি থাকবে বলে জানিয়েছে আমাদের এআই মডেলগুলি। যা পশ্চিমবঙ্গের ২৫ টি প্রশাসনিক জোনের মধ্যে ১৯ টিতেই ২৫ শতাংশের বেশি এলাকাজুড়ে আছে।’
গবেষকরা বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গের আর্সেনিক প্রভাবিত অঞ্চলে পানীয় জলের উৎস চিহ্নিত করার জন্য এই মডেলের কাঠামো যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনই দেশের অন্যান্য প্রান্তেও তা ব্যবহার করা যেতে পারে। একইসঙ্গে কেন্দ্রের ‘জল জীবন মিশন'-এর আওতায় সেই তথ্যগুলির মাধ্যমে তৃণমূল স্তরের তথ্যভাণ্ডার তৈরি করা যাবে।
গবেষণা দলের প্রধান এবং আইআইটি খড়গপুরের ভূতত্ত্ব ও ভূ-পদার্থ বিভাগের অধ্যাপক অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘২০২৪ সালের মধ্যে দেশের প্রতিটি বাড়িতে পরিশ্রুত পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার উপর নির্ভর করে আছে মিশনটি। আর পরিশ্রুত ভূগর্ভস্থ জলের অবস্থান সংক্রান্ত তথ্য পেতে সাহায্য করে এই গবেষণা।’
তবে হাতেনাতে তদন্ত করার যে প্রয়োজনীয়তা আছে, তা এই ধরনের আঞ্চলিক মডেলের মাধ্যমে পুরোপুরি কমে যায় না বলে জানিয়েছেন অভিজিৎবাবু। তাঁর বক্তব্য, ভূগর্ভস্থ জলে আর্সেনিকের মতো দূষকের উপস্থিতির ক্ষেত্রে হাতেনাতে তদন্ত করার প্রয়োজনীয়তা আরও বেশি। কারণ ওই সমস্ত দূষকের মাত্রা একই থাকে না। প্রতিটি নলকূপে সেই মাত্রার পার্থক্য থাকে।