করোনাভাইরাস রিপোর্ট পজিটিভ নাকি নেগেটিভ? এক ঘণ্টার মধ্যেই মিলবে উত্তর। খরচ পড়বে মাত্র ৪০০ টাকা। এমনই এক নয়া ডিভাইস তৈরি করল আইআইটি খড়্গপুর। শুধু তাই নয়, অ্যাপের মাধ্যমে পরীক্ষার ফল সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা মহিলার মোবাইলে জানিয়ে দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন : Covid-19: করোনা টেস্টের রিপোর্ট হাতে পেলেন সৌরভ
'কোভির্যাপ' (Covirap) নামে সেই কিটটি শনিবার সামনে আনা হয়েছে। ইতিমধ্যে পেটেন্টের জন্য আইআইটি খড়্গপুরের তরফে আবেদন করা হয়েছে। গবেষকরা জানিয়েছেন, আরটি-পিসিআর টেস্ট মেশিনের খরচ পড়ে ১৫ লাখ টাকা এবং প্রতি টেস্টের জন্য খরচ পড়ে ২,০০০-২,৫০০০ টাকা। সেখানে প্রতিটি ডিভাইসের দাম পড়বে ২,০০০ টাকার মতো। উৎপাদন বাড়ালে সেই অঙ্কটাও কমানো যেতে পারে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। সেজন্য কেন্দ্র এবং বিভিন্ন শিল্প সংস্থার সঙ্গে আলোচনাও চালানো হচ্ছে।
নয়া ডিভাইসটি তৈরি করেছেন মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক সুমন চক্রবর্তী এবং স্কুল অফ বায়োসায়েন্সের ভাইরোলজিস্ট অরিন্দম মণ্ডল। তাঁদের দাবি, এক ফুট বাই এক ফুট বক্সেও সেই টেস্ট ডিভাইস রাখা যাবে। রাসায়নিক বিশ্লেষণ এবং নমুনা পরীক্ষার ফল দেখার জন্য সাধারণ ডিজপোজেবল কাগজের স্ট্রিপ ব্যবহার করা হয়।
আরও পড়ুন : ভারতে কত দাম পড়বে অক্সফোর্ডের করোনা টিকার, জানাল সেরাম ইনস্টিটিউট
সুমনবাবু বলেছেন, ‘(এটার মাধ্যমে) পুল টেস্টিং সম্ভব। প্রতিটি টেস্টের পর শুধুমাত্র কার্টিজ পেপার পালটে ফেলে একই পোর্টেবল ইউনিট দিয়ে অনেক টেস্ট করা যাবে। প্রতি ঘণ্টায় কমপক্ষে ১০ টি পৃথক নমুনা পরীক্ষা করার সুযোগ আছে।’ তাঁরা জানিয়েছেন, এমনকী আরটি-পিসিআর টেস্টে যেমন সঠিক ফল পাওয়া যায়, আইআইটি খড়্গপুরের ডিভাইসেও সমমানের ফল মিলবে। একইসঙ্গে ‘ফলস রেজাল্ট’-ও না আসার প্রমাণ মিলেছে। অর্থাৎ পরীক্ষার ফলাফল ১০০ শতাংশ নিখুঁত হবে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা।
গবেষকরা জানিয়েছেন, সৌরশক্তি এবং ব্যাটারি দিয়ে একেবারে প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকায় নমুনা পরীক্ষার জন্য এই নয়া ডিভাইস তৈরি করা হয়েছে। এমনকী কার্যত কোনও প্রশিক্ষণ ছাড়াই তা চালানো যাবে। অরিন্দমবাবু জানিয়েছেন, লালারসের নমুনা সংগ্রহ করার পর নয়া ডিভাইস ব্যবহার করা অত্যন্ত সহজ। তাঁর কথায়, 'কোনও ব্যক্তির ছিটেফোঁটা প্রশিক্ষণের প্রয়োজন নেই। শুধুমাত্র বাংলা ও হিন্দিতে লেখা নির্দেশাবলী পড়েই ডিভাইস চালাতে পারবেন। '