একের পর এক ট্রলার শূন্য হাতে ফিরে আসছে ঘাটে। ডায়মন্ডহারবার, নামখানাতে শুধুই মন খারাপের ছবি। মৎস্যজীবীদের অনেকেরই দাবি বছরের এই সময়টাতেই ইলিশের ধরার জন্য মুখিয়ে থাকেন অনেক। কবে বাজারে একটু সস্তায় ইলিশ পাওয়া যাবে তা নিয়েও দিন গোনেন অনেকেই। কিন্তু সেই আশা এবার হয়তো আর পূরণ হওয়ার নয়। তবে সূত্রের খবর, এবার বাংলার বাজারে এই ইলিশের আকালের জেরে পাচারকারীদের কাছে পাচারের অন্য়তম উপাদান হয়ে উঠেছে পদ্মার ইলিশ। সূত্রের খবর, দক্ষিণ দিনাজপুরের হিলি সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশ থেকে পাচার হয়ে পদ্মার ইলিশ ঢুকছে দক্ষিণ দিনাজপুরে। হাত বদলে সেই ইলিশের দাম দাঁড়াচ্ছে ১৮০০-২০০০ টাকা।
তবে চোরাপথে আসা ইলিশ খোলাবাজারে সাধারণত বিক্রি করার ঝুঁকি নিতে চান না ব্যবসায়ীরা। মূলত পাচারকারীদের সঙ্গে বিশেষভাবে যোগাযোগের মাধ্যমে এই বাংলাদেশের ইলিশ মেলে। এমনটাই দাবি বাসিন্দাদের একাংশের। বাংলাদেশ থেকে চোরাপথে আসা ইলিশ গোপনে মজুত করে দালালরা। এরপর মোবাইলের মাধ্যমে যোগাযোগ করা হলে সেই ইলিশ হাতবদল হয়। এমনকী বেশি টাকার বিনিময়ে এই ইলিশের হোম ডেলিভারিও হয়ে থাকে। তবে সবটাই হয় গোপন পথে। কাকপক্ষীও টের পায়না। সূত্রের খবর, মূলত কাঁটাতারবিহীন এলাকা দিয়েই প্যাকেটভর্তি ইলিশ আসে বাংলাদেশ থেকে। সেই ইলিশই মজুত করে দালালরা। এক দেড় কেজি ইলিশের দাম পড়ে প্রায় ১৫০০ টাকা থেকে ২ হাজার টাকা। তবে পাচার রুখতে যথেষ্ট তৎপর সীমান্তরক্ষী বাহিনী। তবুও চোরাপথে , ঘুরপথে চলে আসে বাংলাদেশের ইলিশ। অভিযোগ এমনটাই।