কসবার পর সোনারপুর। রাজ্যে ফের একটি বেআইনি করোনা টিকাকরণ কেন্দ্র ধরা পড়েছে। সেই ঘটনায় এবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার সিএমওএইচের কাছে রিপোর্ট জরুরি ভিত্তিতে তলব করলেন তলব রাজ্য পরিবার কল্যাণ আধিকারিক। অভিযোগ উঠেছে, স্বাস্থ্য দফতরের কর্মী বেআইনি ভাবে করোনা টিকাকরণ শিবির চালাচ্ছিলেন। অভিযুক্ত মিঠুন মণ্ডলকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। উদ্ধার হয়েছে করোনা টিকার দু'টি ভায়াল।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত মিঠুন মণ্ডল ডায়মন্ডহারবার পঞ্চগ্রাম প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কাজ করেন। তিনি সেখানকার ফার্মাসিস্ট। পাশাপাশি, মশাট সাবসেন্টারের টিকাকরণের কো-অর্ডিনেটর ছিলেন তিনি। অভিযোগ, এসব ছাড়াও সোনারপুরে একাধিক জায়গায় টিকাকরণ শিবির চালাচ্ছিলেন মিঠুন। সেই সব কেন্দ্র থেকে বহু মানুষকে করোনার টিকা দেওয়া হয়। জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত মিঠুনের কাছ থেকে অন্তত ৩০ থেকে ৪০ জন করোনার টিকা নিয়েছেন। এমনকী, টিকার বিনিময়ে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মিঠুন মণ্ডলের বিরুদ্ধে।
জানা গিয়েছে, মাথাপিছু ৩০০ থেকে ৪০০ টাকার বিনিময়ে করোনার টিকা বিক্রি করেছেন মিঠুন। অভিযোগ, যাঁরা তাঁর কাছ থেকে টিকা নিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ টিকাকরণ সংক্রান্ত সরকারি মেসেজ পেলেও বাকি অনেকে সেই মেসেজ পাননি। আর এই কারণেই সংশ্লিষ্ট টিকাকরণ শিবিরের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পরই আসরে নামে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় মিঠুনকে। তাঁর কাছ থেকে টিকার যে দুটি ভায়াল উদ্ধার করা হয়েছে, সেগুলি আসল কিনা, তা জানার জন্য ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে পুলিশ। টিকাগুলি যদি আসল হয়, তাহলে প্রশ্ন হল, মিঠুন ওই টিকা হাতালেন কীভাবে? সেক্ষেত্রে এই ঘটনার সঙ্গে স্বাস্থ্য দফতরের কোনও আধিকারিক বা কর্মী জড়িত রয়েছেন কিনা, সেই প্রশ্নও ভাবাচ্ছে পুলিশকে।