'সিঙ্গল সাবজেক্ট টিচার'দের বদলি নিয়ে সমস্যা মেটাতে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য শিক্ষা দফতর। সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, এবার থেকে সিঙ্গল টিচারদের বদলির আবেদন আটকাতে পারবে না স্কুলের প্রধান শিক্ষক বা পরিচালন সমিতি। এই মর্মে নির্দেশিকাও জারি করেছে রাজ্যের শিক্ষা দফতর। উল্লেখ্য, উৎসশ্রী পোর্টালে শিক্ষক-শিক্ষিকারা ইতিমধ্যে বদলির আবেদন জানাতে শুরু করেলেও 'সিঙ্গল সাবজেক্ট টিচার'রা ছাড়পত্র পাচ্ছেন না।
অভিযোগ, উৎসশ্রী পোর্টালে আবেদন জানালেও 'সিঙ্গল সাবজেক্ট টিচার'রা ছাড়পত্র পাচ্ছেন না। কারণ তাঁরা অন্য স্কুলে চলে গেলে, সেখানে সংশ্লিষ্ট বিষয়টি পড়ানোর কেউ থাকবেন না। কোনও নির্দিষ্ট বিষয় পড়ানোর জন্য একজন শিক্ষক থাকলে, তাঁরা স্কুলের কাছ থেকে 'নো অবজেকশন সার্টিফিকেট' পাচ্ছেন না।
এই আবহে রাজ্য শিক্ষা দফতরের বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্ট করে জানানো হয়েছে, যে কোনও 'সিঙ্গল সাবজেক্ট টিচার' বদলির জন্য আবেদন জানালে তা স্কুল কর্তৃপক্ষ বাতিল না করে বিষয়টি ডিআই বা জেলার স্কুল পরিদর্শককে জানাবে। ডিআই সঙ্গে সঙ্গে সিএসই-র আলোচনা করবেন। এর মধ্যে ওই স্কুলের শূন্যপদটিতে যতদিন না পর্যন্ত স্থায়ী শিক্ষক নিযুক্ত করা যাচ্ছে, ততদিন নিকটবর্তী কোনও স্কুলের শিক্ষককে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের ক্লাস নিতে হবে। এই পুরো ব্যবস্থাপনার বিষয়ে রাজ্যের কেন্দ্রীয় স্কুল সার্ভিস কমিশন-এর চেয়ারম্যান, ওয়েস্ট বেঙ্গল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন-এর প্রেসিডেন্টকে জানানো হবে। সাতদিনের মধ্যে সিএসই-কে পুরো ব্যবস্থা করে ফেলতে হবে।
অন্যদিকে, ডিআই নির্দিষ্ট স্কুলের প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে যোগাযাগ করবেন। বদলির আবেদন ডিআই-এর কাছে পাঠাতে হবে প্রধান শিক্ষককে। ডিআই তখন রাজ্যের কেন্দ্রীয় স্কুল সার্ভিস কমিশনের কাছে আবেদনটি অনুমোদনের জন্য পাঠাবেন। কমিশন ওই আবেদন ডব্লিউবিবিএসই-র কাছে পাঠাবে। সেই অনুযায়ী বোর্ড বদলির চূড়ান্ত নির্দেশ দেবে।