একধাক্কায় কলকাতা এবং রাজ্য পুলিশে বড়সড় রদবদল করল রাজ্য সরকার। বিধানসভা ভোট শেষে একদফায় বদলির পর সোমবার রাতে নবান্নের তরফে জানানো হয়েছে, রাজ্যের মোট ৫৫ জন পুলিশ আধিকারিককে রদবদল করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ৫২ জন আইপিএস অফিসার। কম্পালসারি ওয়েটিংয়ে পাঠানো হয়েছে মেদিনীপুর রেঞ্জের ডিআইজি কুণাল আগরওয়ালকে।
স্বরাষ্ট্র দফতরের নির্দেশিকা অনুযায়ী, কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার দীপনারায়ণ গোস্বামী হচ্ছেন স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের (এসটিএফ) ডিআইজি। ভি সলেমন নেশাকুমারকে কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (এসটিএফ) পদে বসানো হয়েছে। অভিষেক গুপ্তকে কলকাতা পুলিশের ডিসি (কমব্যাট) পদে বসিয়েছে নবান্ন। পদোন্নতির সুবাদে রাজ্য পুলিশের ডিআইজি (ট্র্যাফিক) হয়েছেন অমিতাভ ব্রহ্ম। যিনি এতদিন রাজ্য গোয়েন্দা বিভাগের স্পেশাল সুপার ছিলেন। পদোন্নতি হয়েছেন জয় বিশ্বাস এবং শ্যাম সিংয়েরও। এতদিন রাজ্য সশস্ত্র পুলিশের নবম ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসার ছিলেন জয় বিশ্বাস। এবার তাঁকে ডিআইজি (প্রভিশনিং) পদে বসিয়েছে নবান্ন। বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার শ্যাম সিংকে মেদিনীপুর রেঞ্জের ডিআইজি করে পাঠানো হয়েছে। সেখানকার ডিআইজি কুণাল আগরওয়ালকে কম্পালসারি ওয়েটিংয়ে পাঠিয়েছে রাজ্য। একটি অংশের দাবি, সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনিক বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন তিনি। ঝাড়গ্রামের পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকারকে বাঁকুড়ার সুপার করে পাঠানো হয়েছে।
তবে বদলি হওয়ার পুলিশ কর্তাদের মধ্যে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ নাম হল প্রবীণ ত্রিপাঠীর। যিনি ডিআইজি (প্রেসিডেন্সি রেঞ্জ) ছিলেন। গত বছর বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নড্ডার কনভয়ে হামলার সময় সেই দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন। নড্ডার কনভয়ে হামলার পরই তাঁকে তিন বছরের ডেপুটেশনের সশস্ত্র সীমা বলে (এসএসবি) যোগ দেওয়ার নির্দেশ দেয়। যদিও ছাড়পত্র দেয়নি নবান্ন। তার জেরে ওই আইপিএস কর্তাকে নিয়ে রীতিমতো সংঘাতে জড়িয়েছিল কেন্দ্র এবং রাজ্য। এবার ভোটের ফল প্রকাশের এক মাসের মধ্যে তাঁকে ডিআইজি (মালদহ রেঞ্জ) পদে বদলি করেছে রাজ্য।