বউভাতের পর্ব শেষে ফুলসজ্জার জন্য ঘরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল নবদম্পতিকে। সেখানে ঢুকে পড়ে সদ্য বিবাহিত কনের স্তন ছিঁড়ে নেওয়ার চেষ্টা করল বরের প্রেমিকা। ঘটনাটি ঘটেছে গাইঘাটা থানার কুলঝুটি এলাকায়। ঘটনার পরই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতের নাম চন্দনা সরকার। বরুণ নামক যুবকের বিয়েতে আমন্ত্রিত ছিল চন্দনা। সেখানেই এই অভাবনীয় কাণ্ড ঘটায় সে।
অভিযোগ, ফুলসজ্জার জন্য ঘরে নববধূ ঘরে ঢুকতে যাচ্ছিলেন। তার আগে তাঁকে ডাকে চন্দনা। তখন চন্দনা কনের কাছে দাবি করে যে তাঁর স্বামী বরুণের সঙ্গে তার দীর্ঘদিনের প্রেম। এরপর চন্দনা বলে দেয় এই ফুলসজ্জা হতে পারে না। এরপরই নববধূর উপর হামলা করেন চন্দনা। কনের দুই স্তন আঁকড়ে ধরে টানতে থাকে চন্দনা। বরুণ একা চন্দনাকে হটাতে পারেননি। বধূর আর্তনাদ শুনে ঘটনাস্থলে ছুটে যান পরিবারের সদস্যরা। এরপরই চন্দনার বিরুদ্ধে পুলিশের দ্বারস্থ হয় আক্রান্তের শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা। অপরদিকে তড়িঘড়ি চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয় নববধূর।
জানা গিয়েছে, চন্দনা সরকার গাইঘাটার শিমুলিয়ার বাসিন্দা। তিনি নিজে বিবাহিত। চন্দনার দাবি, বরুণের সঙ্গে তার দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল। এহেন বরুণের বিয়ে মেনে নিতে পারেনি চন্দনা। বরুণকে নাকি বিয়ে করতে বারণ করেছিল চন্দনা। তবে বরুণ সে কথা শোনেননি। এই আবহে বিয়ের পর বরুণের সদ্য বিবাহিত স্ত্রীর উপরই হামলা চালাল চন্দনা। ঘটনার জানাজানি হতেই চাঞ্চল্য ছড়ায়। এদিকে তদন্তে নেমে পুলিশও হতবাক চন্দনার কীর্তিতে।