শনিবার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসে ডিম-ভাত খাওয়া নিয়ে উত্তপ্ত হয় বালুরঘাট পৌর এলাকা। সংঘর্ষে জখম হয়েছেন বহু। বেশ কয়েকজনের মাথা ফাটায় তাদের ভর্তি করা হয়েছে বালুরঘাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠান ঘিরে এই ধুন্ধুমার হয়ে বলে জানা গিয়েছে। দলের এত গুরুত্বপূর্ণ একটি অনুষ্ঠানে যেভাবে গোষ্ঠীকোন্দল সামনে এসেছে, তাতে বেজায় অস্বস্তিতে শাসক দল।
অভিযোগ, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সক্রিয় সদস্য আর্য অধিকারীর উপর এদিন অনুষ্ঠান চলার সময় হামলা চালানো হয়। এরপর সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। পরে জানা যায় ডিম-ভাত খাওয়াকে কেন্দ্র করে দুই গোষ্ঠীর বচসা শুরু হয় এদিন। সেখান থেকেই সংঘর্ষ বাধে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় বালুরঘাটের বিশাল পুলিশ বাহিনী। তৃণমূল নেতা শঙ্কর চক্রবর্তী ও মন্ত্রী বিপ্লব মিত্রের গোষ্ঠীবিরোধ থেকেই এই সংঘর্ষ বলে জানা গিয়েছে।
এদিকে আর্য ছাড়াও আরও একাধিক ছাত্রনেতা সংঘর্ষে জখম হন। জখম টিএমসিপি সদস্যদের একাংশের অভিযোগ, বিপ্লব মিত্রের গোষ্ঠী তাঁদের উপর হামলা চালায়। পাল্টা বিপ্লব মিত্র অনুগামী সদস্যদের অভিযোগ, যাঁরা সংঘর্ষের সৃষ্টি করেছে তাঁরা তৃণমূলের কোনও দলীয় কর্মী বা সমর্থক নন। অপর পক্ষকে দুষ্কৃতী আখ্যা দিয়ে অভিযোগ করা হয়, তারা নাকি কলেজের অনুষ্ঠানে ঢুকে আচমকা টূক্তি করেন। এর জেরেই সংঘর্ষ বাধে।
প্রসঙ্গত, শঙ্কর চক্রবর্তীকে সরিয়ে বিপ্লব মিত্রকে জেলার দলীয় চেয়ারম্যান করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিপ্লবের হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দেওয়া কংগ্রেস বিধায়ক গৌতম দাসকে জেলা সভাপতি করা হয়। এরপর থেকেই শঙ্কর এবং বিপ্লবের মধ্যে ঠান্ডা লড়াই শুরু হয়। মাঝে মধ্যেই প্রকাশ্যে চলে আসে গোষ্ঠীকোন্দল। নির্বাচন মিটে গেলেও তাঁদের বিবাদ মেটেনি।