মাঝরাতে বিজেপি কর্মীর বাড়িতে আগুন লাগানোর অভিযোগ উঠল। অভিযোগের তির তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে। যদিও এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে জোড়াফুল শিবির। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর জেলা পূর্ব মেদিনীপুরে এই ঘটনা নিয়ে জোর আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। এগরা বিধানসভার জুমকি গ্রাম পঞ্চায়েতের বামুনিয়া এলাকায় এখন এটাই চর্চা বিষয়।
ঠিক কী ঘটেছে এগরায়? পুলিশ সূত্রে খবর, এই সংক্রান্ত কোনও অভিযোগ তাদের কাছে জমা পড়েনি। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এগরা জুমকি গ্রাম পঞ্চায়েতের বামুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা দীপক দে। মাঝরাতে তাঁর বাড়িতেই আগুন লাগানো হয় বলে অভিযোগ। পরিবার সূত্রে খবর, এই বাড়িতে তখন কেউ ছিলেন না। সেই খবর দুষ্কৃতীদের কাছে আগেই ছিল। তাই বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিয়ে যায়। প্রতিবেশীদের কাছে জানতে পেরে বাড়িতে ছুটে আসেন পরিবারের সদস্যরা। আগুন নেভানোর চেষ্টা করা হলেও ততক্ষণে ভস্মীভূত হয়ে যায় পুরো বাড়ি। বাড়িতে থাকা দামী আসবাব–সহ দরকারি দলিল, নথি, কাগজপত্র, নগদ টাকাও পুড়ে গিয়েছে।
ঠিক কী বলছে বিজেপি? এই ঘটনাকে নিয়ে মাঠে নেমে পড়েছে বিরোধী দল বিজেপি। দীপক দে’র স্ত্রী রেখা দে বলেন, ‘সব জ্বালিয়ে চলে গিয়েছে। এই ঘটনায় সিবিআই তদন্ত চাই। অভিযুক্তদের কঠোরতম শাস্তি চাই।’ তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে অভিযোগে তুলেছে বিজেপি নেতৃত্ব। স্থানীয় বিজেপি মণ্ডল সভাপতি বিদ্যুৎ শিট বলেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেসের কালচারই এমন। বাড়িতে থাকলে হয়তো দ্বিতীয় বগটুইয়ের মতো ঘটনা ঘটে যেত। মানুষ যোগ্য জবাব দেবে।’
ঠিক কী বলছে পুলিশ–তৃণমূল? এই ঘটনা নিয়ে এগরা থানার আইসি মৌসম চক্রবর্তী বলেন, ‘এমন ঘটনা আমাদের জানা নেই। অভিযোগ পেলে পুরো ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হবে। যদি আমরা খোঁজখবর নিয়ে দেখছি।’ অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূল কংগ্রেসের এগরার বিধায়ক তরুণ কুমার মাইতি বলেন, ‘আমার পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ এবং বুথ সভাপতি ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন। আমি তাঁদের ত্রাণের ব্যবস্থা করে দিয়েছি। তাঁরা বিজেপি করে বলতে পারেন, কিন্তু আমাদের ভোটার বলে জানি। তাঁরা বাড়িতে ছিল না। জামাইয়ের সঙ্গে গণ্ডগোল জন্যই আগুন লাগিয়ে দিয়েছে।’