লোকপালের নির্দেশে মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে হবে সিবিআই তদন্ত। দিল্লিতে যখন দাবি করছেন বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। সেই সময় কৃষ্ণনগরের সাংসদ ব্যস্ত দলকে কৃষ্ণনগর এক নম্বর পঞ্চায়েত সমিতিতে জেতাতে। সাংসদের উপস্থিতেই পঞ্চায়েতে স্থায়ী সমিতি গঠন করল তৃণমূল।
এর ফলে কৃষ্ণনগর এক নম্বর পঞ্চায়েত সমিতি ৯টি স্থায়ী সমিতি এখন তৃণমূলের দখলে। ঘটনাচক্র বোর্ড গঠনের এই ভোটাভুটিতে হাজির ছিলেন না রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার।
কৃষ্ণনগর এক নম্বর পঞ্চায়েত সমিতিতে মোট ৩৬টি আসন রয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে এর মধ্যে ১৮টি আসনে জয়ী হয় তৃণমূল। বিজেপি জয়ী হয় ১৬টি আসনে। বামেরা জেতে দুটি আসনে।
২৮ অগস্ট এই সমিতি গঠনের কথা থাকলেও ভোটাভুটির আগে বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। সমিতি গঠনের প্রক্রিয়া সেদিন বন্ধ রাখেন বিডিও।
আজ বুধবার ফের সমিতি গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়। এদিন তৃণমূলের সকলে উপস্থিত থাকলেও বিজেপির পক্ষে হাজির ছিলেন না রানাঘাটের সাংসদ। বিজেপি সদস্যরা ভোট বয়টক করলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তৃণমূল জিতে যায়। হাসি ফোটে সাংসদ মহুয়া মৈত্রের মুখে।
সাংবাদিকদের বলেন, 'আমাদের সংখ্যা গরিষ্ঠতা ছিল। এখানকার ন'টা সমিতিই তৃণমূলের হাতে চলে এল। বিজেপি ভোটভুটিতে না গিয়ে ওয়াকআউট করল। আমরাই প্রক্রিয়াটা শেষ করেছি।'
(পড়তে পারেন। লোকপালের নির্দেশে মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে হবে সিবিআই তদন্ত, দাবি বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবের)
বিজেপি সাংসদের না আসা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, 'বিজেপি সাংসদ কেন আসেননি সেটা উনি বলবেন। আমি তো সেটা বলতে পারি না।'
'নগদের বিনিময়ে প্রশ্ন' নিয়ে অভিযোগকে কেন্দ্র করে টানাপোড়েন চলছে মহুয়া মৈত্রের। এরই মধ্যে আবার তাঁর প্রাক্তন বন্ধু, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জন অনন্ত দেহদ্রাই অভিযোগ করেছেন, বিনা আমন্ত্রণে তাঁর বাড়িতে প্রবেশ করেছেন মহুয়া। এই নিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ে করেছেন তিনি।
এই টানাপোড়নে তৃণমূল সাংসদকে কিছুটা স্বস্তি দেবে তাঁর উপস্থিতিতে পঞ্চায়েত সমিততে দলের জয়।