ফের করোনাভাইরাস রক্তচক্ষু দেখাতে শুরু করল। আচমকা করোনা সংক্রমণে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় উদ্বেগে পড়েছে জলপাইগুড়ি পুর–প্রশাসন। অন্যান্য জেলায় যখন এই সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে তখন জলপাইগুড়িতে তিনদিনে ৩৬ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে পড়লেন। এখন করোনার নয়া প্রজাতির ত্রাসে আতঙ্কিত গোটা বিশ্ব। ডেল্টা থেকেও বেশি ‘উদ্বেগজনক’ আখ্যা দেওয়া হচ্ছে এই ওমিক্রন প্রজাতিকে। সেখানে এই অসুস্থতা নিয়ে চিন্তা বাড়িয়েছে চিকিৎসকদের।
এই বিষয়ে জলপাইগুড়ি পুরসভার প্রশাসনিক বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান সৈকত চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘১১ আদরপাড়া ও ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে নেতাজিপাড়ায় দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। তিনদিনের মধ্যে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৬ জন। আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশই বাড়ছে।’ কেন্দ্রের প্রকাশিত নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, ওমিক্রনের ত্রাসের কারণে ১ ডিসেম্বর থেকে বিদেশ থেকে আগত প্রত্যেক যাত্রীকে বিগত ১৪ দিনের ‘ট্রাভেল হিস্ট্রি’ জমা দিতে হবে। তাছাড়া আরটি-পিসিআর টেস্টের ফলও জমা দিতে হবে।
সেখানে হঠাৎ জলপাইগুড়িতে এই পরিস্থিতি বেজায় আতঙ্কের বাতাবরণ তৈরি করেছে। করোনা নিয়ে জলপাইগুড়ি শহরবাসীকে আরও সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এই বিষয়ে ভাইস চেয়ারম্যান সৈকত চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘করোনাভাইরাসকে একেবারেই সহজভাবে নেবেন না। শহরবাসী সবসময় মাস্ক ও স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন।’
উল্লেখ্য, এই পরিস্থিতিতে আগামী ১৫ ডিসেম্বর থেকে আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা স্বাভাবিক হওয়ার কথা থাকলেও তা পুনর্বিবেচনার কথা জানায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। আর এরই মধ্যে ১ ডিসেম্বর থেকে নয়া কোভিড বিধিনিষেধ লাগু করতে চলেছে কেন্দ্র।