রাজ্যে NRC আতঙ্কে ৩১ – ৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার নদিয়ার রানাঘাটে তৃণমূল উদ্বাস্তু সেল আয়োজিত এক CAA বিরোধী সভায় এমনটাই দাবি করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এই তথ্য থেকে তিনি কোথা থেকে পেয়েছেন তা জানাননি তিনি।
অসমে NRC-র চূড়ান্ত তালিকা বেরোনোর পর পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে NRC আতঙ্কে মৃত্যুর খবর আসে। মৃতদের পরিজনদের দাবি ছিল, NRC আতঙ্কে উদ্বেগ থেকেই মৃত্যু হয়েছে তাদের। তবে তার কোনও উপযুক্ত তদন্ত হয়নি। পরিজনদের দাবিকে স্বীকৃতি দিয়েছে তৃণমূল-সহ অন্যান্য CAA বিরোধী দলগুলি। সরকার বা পুলিশের তরফেও সেই সংখ্যা নিয়ে কোনও নির্দিষ্ট পরিসংখ্যান কখনো মেলেনি। অথচ মঙ্গলবার রাজ্যে NRC-তে ৩১- ৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করলেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন দলীয় মঞ্চ থেকে তিনি বলেন, ‘অসমে NRC আতঙ্কে ১০০-র বেশি মানুষ মারা গিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে মৃত্যুর সংখ্যা ৩১ – ৩২।’ প্রশ্ন উঠছে NRC আতঙ্কে মৃত্যুর সংখ্যা সরকারের জানা থাকলে সরকারি ভাবে তা জানাচ্ছে না কেন রাজ্য সরকার?
আইনজ্ঞদের মতে, কেউ উৎকণ্ঠায় মারা গেলে তা প্রমাণ করা যায়। কিন্তু কীসের উৎকণ্ঠায় তার মৃত্যু হয়েছে তা প্রমাণ করা মুশকিল। তাই সরকারি ভাবে সংখ্যা ঘোষণা করলে আইনি জটিলতার মধ্যে পড়তে হতে পারে সরকারকে। সেজন্যই দলীয় মঞ্চ থেকে NRC আতঙ্কের মৃতের সংখ্যা নিয়ে মুখ খুললেন মমতা।