এবার শিলিগুড়ির ফুলবাড়িতে তুমুল আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। কারণ সেখান থেকে উদ্ধার হয়েছে মর্টার শেল। আর এই খবর চাউর হতেই ঘটনাস্থলে তড়িঘড়ি ছুটে আসে নিউ জলপাইগুড়ি থানার পুলিশ। এই মর্টার শেল উদ্ধারকে কেন্দ্র করে আলোড়ন ছড়াল এলাকায়। আজ, সোমবার ফুলবাড়ি আমায়দীঘি এলাকার বাংলা–ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত সংলগ্ন একটি গাড়ির পার্কিং থেকে এই মর্টার শেলটি উদ্ধার হয়। এই ঘটনায় নিয়ে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে এলাকায়। কেমন করে এখানে মর্টার শেল এল? কারা ফেলল? তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
এদিকে স্থানীয় সূত্রে খবর, ফুলবাড়ি এলাকায় একটি পার্কিংয়ে ডাম্পারে করে তিস্তা থেকে বালি–পাথর আনা হয়েছিল। সেই বালি–পাথর চালান করার সময় এই বিস্ফোরক মর্টার শেলটি বেরিয়ে আসে। তখনই খবর দেওয়া হয় নিউ জলপাইগুড়ি থানার পুলিশকে। অনুমান করা হচ্ছে ২০২৪ সালে পাহাড়ে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের পর তিস্তা নদীতে বহু মর্টার শেল বিস্ফোরক ভেসে আসে। এই মর্টার শেলটি ওদলাবাড়ি তিস্তার থেকে বালি–পাথর আনার সঙ্গে চলে আসতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে সেই মর্টার সেলটি উদ্ধার করেছে।
আরও পড়ুন: দুই শিশু এবং এক বৃদ্ধার চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন অভিষেক, বেঙ্গালুরু পাঠালেন শিশুদের
অন্যদিকে স্থানীয় কিছু মানুষ ফুলবাড়ির ভারত–বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী ট্রাক পার্কিংয়ের এলাকায় ওই মর্টার শেলটি দেখে নানা গুজব তৈরি করে ফেলেন। তাতে আরও মানুষ জড়ো হতে শুরু করেন। এই মর্টার শেল পড়ে থাকতে দেখে আতঙ্কের বাতাবরণও তৈরি হয়। সেটি ফাটতে পারে বলে চাউর হয়ে যায়। পিল পিল করে লোজন জড়ো হতে থাকেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের ভিড় দেখে যথেষ্ট অসন্তুষ্ট হন পুলিশ কর্তারা। কাজ করতে অসুবিধা হচ্ছে বলে তাঁরা জানান। স্থানীয় বাসিন্দারাই এই খবর দেন শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশের নিউ জলপাইগুড়ি থানায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে নিউ জলপাইগুড়ি থানার পুলিশ।
এছাড়া খবর দেওয়া হয় সিআইডি, বোম্ব স্কোয়াড থেকে শুরু করে দমকল বিভাগকে। কিন্তু এখানে মর্টার শেল এল অথচ বিএসএফ কিছু জানে না! এটাতেই অনেকে আশ্চর্য হচ্ছেন। কারণ এখন বাংলাদেশের পরিস্থিতি ভাল নয়। সেখানে নিত্য অশান্তি লেগেই রয়েছে। যার জেরে ওপার থেকে এপারে অনুপ্রবেশ ঘটছে। সেখানে সীমান্তে মর্টার শেল বেশ ভাবিয়ে তুলেছে। পুলিশ গিয়ে ঘটনাস্থল ফাঁকা করে দেয়। ভারত–বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকায় কেমন করে ওই মর্টার শেলটি এল? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে তদন্ত শুরু করেছে নিউ জলপাইগুড়ি থানার পুলিশ। নিয়ম মেনেই এই মর্টার শেলকে ডিফিউজ করবে পুলিশ। আর খতিয়ে দেখা হবে মর্টার শেলটি বাংলাদেশের নাকি ভারতের। ইতিমধ্যেই মর্টার শেলটির ছবি প্রশাসনিক স্তরে নানা জায়গায় পাঠানো হয়েছে।