বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > India vs Australia 3rd test: ‘ক্রিকেটকে হত্যা করেছেন’, চোট নিয়ে বিহারীর লড়াইয়ের পরও ‘অপরাধ’ দেখলেন বাবুল

India vs Australia 3rd test: ‘ক্রিকেটকে হত্যা করেছেন’, চোট নিয়ে বিহারীর লড়াইয়ের পরও ‘অপরাধ’ দেখলেন বাবুল

‘ক্রিকেটকে হত্যা করেছেন’, চোট নিয়ে বিহারীর লড়াইয়ে ‘অপরাধ’ দেখলেন বাবুল। (ছবি সৌজন্য টুইটার এবং ফেসবুক - ফাইল)

বাবুলের ব্যাখ্যা, দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে বাজে বলগুলিতে মারতে পারতেন!

হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট - কার্যত দৌড়াতে পারছেন না। সেই অবস্থায় মরিয়া লড়াই করে চালিয়ে ভারতকে হারের মুখ থেকে বাঁচিয়েছেন হনুমা বিহারী। তাতে অবশ্য খুশি নন আসানসোলের বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়। বরং ‘ক্রিমিনাল’ (অপরাধী) বিহারীর খেলার ভঙ্গি নিয়ে প্রশ্ন তুলে বাবুল দাবি করেন, শুধু জয়ের আশা শেষ করে দেননি ডানহাতি ব্যাটসম্যান, ক্রিকেটকে ‘হত্যা’ করেছেন।

সোমবার সিডনিতে পঞ্চম দিনের খেলা শুরুর সময় জয়ের জন্য ৩০৯ রান দরকার ছিল। কিন্তু অতি বড় ভারতীয় সমর্থকও ভাবেননি যে সেই পরিস্থিতি থেকে ভারত কোনওভাবে সিডনি টেস্ট জিততে পারে। বরং দিনের শুরুতেই অজিঙ্কা রাহানের উইকেট হারিয়ে হারের আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু তারপর চোট পাওয়া ঋষভ পন্তের সৌজন্যে সেই হারের আশঙ্কা থেকে জয়ের আশা দেখতে শুরু করেন ভারতীয় সমর্থকরা। রীতিমতো অজি বোলারদের শাসন করতে থাকেন তিনি। জমাট দেখাচ্ছিল চেতেশ্বর পূজারাকেও। কিন্তু চার বলের ব্যবধানে দু'জনেই আউট হওয়ার পর জয়ের আশা ছেড়ে ম্যাচ বাঁচানোর কৌশল নেয় ভারত। রবিচন্দ্রন অশ্বিন এবং হনুমা বিহারী মিলে প্রায় ৪৪ ওভার খেলেন। পড়তে দেননি এক উইকেটও। দাঁতে দাঁত চেপে তাঁদের লড়াইয়ের জন্য ম্যাচ ড্র রাখতে সক্ষম হয় ভারত।

সেই মরিয়া লড়াইয়ের জন্য বিহারী এবং অশ্বিনের তুমুল প্রশংসা করেন প্রাক্তন ক্রিকেটাররা থেকে শুরু করে নেটিজেনরা। বিশেষত হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট সত্ত্বেও যেভাবে মাটি কামড়ে পড়েছিলেন বিহারী, সেজন্য তাঁর প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয় ক্রিকেটবিশ্ব। যিনি ১৬১ বলে ২৩ রানে অপরাজিত থাকেন। কিন্তু তাঁর সেই লড়াইয়ে একেবারেই খুশি হননি বাবুল। বিহারী ও অশ্বিনের লড়াইয়ের মধ্যেই টুইটারে বাবুল লেখেন, ‘১০৯ বল খেলে সাত রান করেছেন! এটা খুব খারাপ বললেও কম বলা হবে। ঐতিহাসিক জয়ের ক্ষেত্রে ভারতের সম্ভাবনা শুধুমাত্র শেষ করে দেননি বিহারী, বরং তিনি ক্রিকেটকেও হত্যা করেছেন। সম্ভাবনা খুব কম হলেও জয়ের জন্য চেষ্টা না করার কাজ অপরাধের।’ সঙ্গে যোগ করেন, ‘আমি ক্রিকেটের বিষয়ে কিছু জানি না।’

যদিও সেই মন্তব্যের জন্য একেবারেই রেহাই পাননি বাবুল। যে খেলোয়াড় কার্যত দৌড়াতে পারছেন না, মাঠে ফিজিয়ো ডাকছেন, তাঁর এরকম মরিয়া লড়াইকে কীভাবে ‘অপরাধ’ বলা যায়, তা নিয়ে নেটিজেনদের তোপের মুখে পড়েন আসানসোলের সাংসদ। তাতেও অবশ্য নিজের অবস্থানে অনড় থাকেন। পরে একটি টুইটবার্তায় তিনি বলেন, ‘দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়েই যদি বাজে বলগুলিকে বাউন্ডারিতে পাঠানোর উদ্যম দেখাতেন হনুমা, তাহলে হয়ত এই ঐতিহাসিক জয় ছিনিয়ে নিতে পারত ভারত। বিশেষত পন্ত যা করেছেন, তা কেউ ভাবতেও পারেননি। আমি আবারও বলছি যে হনুমা শুধুমাত্র বাজে বল মারতে পারতেন। কারণ তিনি ততক্ষণে সেট হয়ে গিয়েছিলেন।’

বন্ধ করুন