'কাঁটাতার বসানোর কাজ বন্ধ না করলে গুলি করব'- বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবির সদস্যরা এমনই হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ করলেন এক ব্যক্তি। সংবাদমাধ্যম এবিপি আনন্দে ওই ব্যক্তি জানিয়েছেন, মালদা বৈষ্ণবনগর সীমান্তে কাঁটাতার দেওয়ার জন্য গ্রাম থেকে ২০ জনের মতো গিয়েছিলেন। সেইসময় বিজিবির সদস্যরা এসে বলেন যে এখনই কাজ বন্ধ করতে হবে। নাহলে তাঁরা গুলি চালাতে বাধ্য হবেন। যে ভারতীয়রা কাজ করছিলেন, তাঁদের সেই হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওই ব্যক্তি।
ভারতীয় ভূখণ্ডেই কাঁটাতার বসানো হচ্ছে
আর যেখানে কাঁটাতার বসানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে, তা ভারতীয় ভূখণ্ডের মধ্যেই পড়ে। মালদার বৈষ্ণবনগরের সুকদেবপুর সীমান্তের যে অংশটা খোলা আছে, সেটা কাঁটাতার বসানোর তোড়জোড় শুরু করা হয়। কিন্তু কাঁটাতারের বেড়া বসানোর জন্য সেখানে গর্ত খোঁড়ার কাজ শুরু করতেই বিজিবির বিরুদ্ধে কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। তা নিয়ে তৈরি হয় উত্তেজনা।
পরবর্তীতে বুধবার ফের কাজ শুরু করা হয়। কিন্তু তখনও বিজিবির তরফে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। পরবর্তীতে মহদিপুর বর্ডার আউট পোস্টে ভারতের সীমান্তরক্ষা বাহিনী বিএসএফ এবং বাংলাদেশের বিজিবির মধ্যে বৈঠক হয়। সেই বৈঠকের পরদিন তথা বৃহস্পতিবার নতুন করে গর্ত খোঁড়ার কাজ শুরু করা হয়নি।
বাঁধের সময় কোনও আপত্তি করেনি বিজিবি, দাবি স্থানীয়দের
সূত্রের খবর, ওই অংশের কাঁটাতার বসানোর জন্য আরও ৩০০টির মতো গর্ত খুঁড়তে হবে। ইতিমধ্যে ১০০টি গর্ত খুঁড়ে ফেলা হয়েছে। কিন্তু বাকি গর্ত খোড়ার কাজ যখন চলছিল, তখন বিজিবির তরফে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। অনেকের বক্তব্য, বছরখানেক আগে ওই এলাকায় মাটির বাঁধ দেওয়া হয়েছিল। সেইসময় বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী কোনওরকম আপত্তি জানায়নি। কোনওরকম বাধাও দেয়নি। কিন্তু এবার কাঁটাতার বসানোর কাজে বাধা দিচ্ছে।
সীমান্তে বাঙ্কার তৈরি বিজিবির, উঠল অভিযোগ
শুধু তাই নয়, অভিযোগ উঠেছে যে সীমান্তে বাঙ্কারও তৈরি করেছে বিজিবি।ওই সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সুকদেবপুর সীমান্তে কাঁটাতার বসাতে যাওয়া ওই ব্যক্তি জানিয়েছেন যে বিজিবির ২৫০-৩০০ জন সদস্য চলে আসেন। বাংলাদেশের দিকে ভিড় জমান ২,০০০-৩০০০ মানুষ। সেইসঙ্গে তিনি দাবি করেছেন, ওই সীমান্তে বাঙ্কার খুলেছে বিজিবি। আগে সেগুলি ছিল না। ওই বাঙ্কার থেকে সবসময় বন্দুক তাক করে রাখা হয়েছে বলে দাবি করেছেন ওই ব্যক্তি।