জঙ্গি দমন অভিযানের সময় তুষারঝড়ের মধ্যে পড়ে গিয়েছিলেন। বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল যোগাযোগ। শেষপর্যন্ত ভারতীয় সেনার এলিট প্যারা ফোর্সের দুই জওয়ানের নিথর দেহ উদ্ধার করা হল। সূত্রের খবর, ল্যান্স হাবিলদার পলাশ ঘোষের বাড়ি মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়ার রুকুনপুর বলরামপাড়ায়। আর ল্যান্স নায়েক সুজয় ঘোষের বাড়ি বীরভূমের রাজনগরের কুন্ডিরা গ্রামে। দেশের জন্য নিজেদের জীবনের পরোয়া না করে যেভাবে প্রবল প্রতিকূল আবহাওয়ার মধ্যে জঙ্গি-বিরোধী অভিযানে নেমেছিলেন প্যারো ফোর্সের দুই জওয়ান, সেজন্য তাঁদের স্যালুট জানিয়েছে ভারতীয় সেনা।
শুক্রবার ভারতীয় সেনার চিনার কোরের তরফে বলা হয়েছে, 'মারাত্মক বিরূপ আবহাওয়ার সঙ্গে লড়াই করে কোকেরনাগের কিশতোয়ার রেঞ্জে লাগাতার জঙ্গি-বিরোধী অভিযান চালানোর সময় দুই বীর ল্যান্স হাবিলদার পলাশ ঘোষ এবং ল্যান্স নায়েক সুজয় ঘোষ যে সর্বোচ্চ বলিদান দিয়েছেন, সেজন্য তাঁদের সম্মান জানাচ্ছে চিনার কোর।'
সেইসঙ্গে ভারতীয় সেনার চিনার কোরের তরফে বলা হয়েছে, ‘তাঁরা যে সাহসিকতা এবং নিষ্ঠার পরিচয় দিয়েছেন, তা আমাদের চিরকাল অনুপ্রাণিত করবে। বীর জওয়ানদের সাহসিকতা এবং আত্মত্যাগকে স্যালুট জানাচ্ছে চিনার স্কোর। আমরা শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করছি। আমরা তাঁদের কল্যাণের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ৬ এবং ৭ অক্টোবর মধ্যবর্তী রাতে দক্ষিণ কাশ্মীরের কিশতোয়ার রেঞ্জে তুষারঝড় এবং বিরূপ আবহাওয়ার মধ্যে পড়ে ভারতীয় সেনার একটি দল। তখন থেকে সেনার দুই জওয়ানের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। তারপর দুই জওয়ানের খোঁজে তল্লাশি শুরু করা হয়।
কিন্তু চূড়ান্ত প্রতিকূল আবহাওয়ার জন্য উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছিল। বৃহস্পতিবার এক জওয়ানের দেহ উদ্ধার করা হয়। শুক্রবার অপরজনের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আধিকারিকরা জানিয়েছেন, হাইপোথারমিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে দুই জওয়ানের। সূত্রের খবর, শনিবার দুই জওয়ানের দেহ বাড়িতে নিয়ে আসা হবে।