ভারতের প্রথম ‘পুশ-পুল’ প্রযুক্তির ‘এরোডায়নামিক’ ইঞ্জিন তৈরি করল পশ্চিমবঙ্গের চিত্তরঞ্জন লোকোমোটিভ ওয়ার্কস (সিএলডব্লিউ)। সেই ইঞ্জিনের নামকরণ করা হয়েছে ‘তেজস এক্সপ্রেস লোকো’।
‘পুশ-পুল’ প্রযুক্তির ফলে উচ্চগতিতে দৌড়ানোর সময় ইঞ্জিনে বায়ুর যে ধাক্কা লাগে, তা অনেকটা কমবে। অর্থাৎ দ্রুত গতিতে দৌড়ানোর সময় সেই ইঞ্জিন স্থিতিশীল থাকবে এবং শক্তির খরচ বাঁচবে। সহজেই বাতাস কাটিয়ে সামনের দিকে এগিযে যেতে পারবে। এক্ষেত্রে ইঞ্জিনের সামনের দিকে অংশটি ‘এরোডায়নামিক’ হবে। আর ট্রেনের দিকে যে অংশটি থাকবে, তা সমান হবে।
শুক্রবার চিত্তরঞ্জন লোকোমোটিভ ওয়ার্কসের সাইডিংয়ে সেই দুটি ‘তেজস এক্সপ্রেস লোকো’ ইঞ্জিনের উদ্বোধন করেন জেনারেল ম্যানেজার প্রবীণ কুমার। সঙ্গে ছিলেন চিত্তরঞ্জন লোকোমোটিভ ওয়ার্কসের শীর্ষ কর্তা এবং কর্মীরা।
ডব্লিউএপি ৫ বিভাগের উন্নতর সংস্করণের সেই ইঞ্জিনটি ১৬ টি কোচ টানতে সক্ষম। ছ’হাজার অশ্বশক্তি ক্ষমতা বিশিষ্ট ইঞ্জিনে আধুনিক প্রপালশন সিস্টেম আছে। যা ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার বেগে ছুটতে সম্ভব। রাজধানী এক্সপ্রেস-সহ দেশের যে কোনও প্রিমিয়াম ট্রেনকে নিয়ে দৌড়াতে পারবে এই ইঞ্জিন। তার ফলে হাওড়া থেকে নয়াদিল্লি এক্সপ্রেসের যাত্রায় সময় ৯০ মিনিট কমবে।
শুধু তাই নয়, সেই ইঞ্জিনে ‘কম্পোজিট কনভার্টার’ থাকবে। যা সরাসরি ট্রেনের সব কামরায় নিরবিচ্ছিন্নভাবে আলো, পাখা এবং এসির বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে। সেজন্য আলাদাভাবে জেনারেটর ভ্যান জোড়ার প্রয়োজন হবে না। তার ফলে একদিকে যেন বায়ু এবং শব্দদূষণের মাত্রা কমবে, তেমনই একই দৈর্ঘ্যের ট্রেনে বাড়তি একটি কামরা জোড়া যাবে। যা যাত্রীদের পক্ষে সুবিধাজনক তো হবেই, আয় বাড়বে রেলেরও।