ধর্ষণে বাধা দেওয়ায় আদিবাসী যুবতীকে মারধরের অভিযোগ উঠল। শুধু তাই নয়, অর্ধনগ্ন করে বেধড়ক মারধর করা হল নির্যাতিতা যুবতীকে। ঘটনার ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতে গ্রেফতার করা হল অভিযুক্তকে। ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ির বানারহাটের মঙ্গলকাটা রাভা বনবস্তি এলাকায়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতের নাম লক্ষ্মীকান্ত রায়। নিগৃহীত যুবতী মঙ্গলকোটা রাভা বস্তির বাসিন্দা। পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ওই যুবতীকে হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। তবে তাঁর সঙ্গে ধর্ষণ করা হয়েছে কিনা, তা পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। বুধবার অভিযুক্তকে জলপাইগুড়ি আদালতে তোলা হয়।
নির্যাতিতা ওই যুবতীকে মারধরের ঘটনার ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই অভিযুক্তকে চিহ্নিত করে পুলিশ। নিগৃহীত আদিবাসী যুবতীর অভিযোগ, অভিযুক্ত তাঁকে একটি নির্মীয়মাণ পরিত্যক্ত বাড়িতে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করার চেষ্টা করছিল। বাধা দিতে গেলে তাঁকে মাটিতে ফেলে বেধড়ক মারধর করে অভিযুক্ত।
তাঁর আরও অভিযোগ, ঘটনার দিন সকাল দশটা নাগাদ লিজে দেওয়া চাষের জমি দেখে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। সেই সময় অভিযুক্ত ব্যক্তি পিছন দিক থেকে তাঁর গলার গামছা টেনে ধরে। সেখানে থেকে জোর করে তাঁকে তুলে নিয়ে যায় পাশের একটি নির্মীয়মাণ পরিত্যক্ত বাড়িতে। তারপর এই যুবতীকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। সেই সময় ওই যুবতী অভিযুক্তকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করতে গেলে মাটিতে ফেলে তাঁকে এলোপাথাড়ি কিল-চড়-লাথি মারতে থাকে অভিযুক্ত।
নির্যাতিতা ওই যুবতী চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করেন। ওই যুবতীর আওয়াজ শুনে স্থানীয় বাসিন্দারা ঘটনাস্থলে জড়ো হয়ে যান। ভিড় বাড়তে দেখে বেগতিক বুঝে ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত। প্রত্যক্ষদর্শীদের মধ্যে কেউ এই ভিডিয়োটি তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করে দেয়। ভিডিওটিতে স্পষ্ট দেখা গিয়েছে, এক যুবতীকে ধরে বেধড়ক মারধর করছে অভিযুক্ত। ঘটনায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হলে কড়া হাতে ব্যবস্থা নেয় বারানারহাট থানার পুলিশ। অভিযুক্তকে চিহ্নিত করে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতের কঠোর শাস্তির দাবি তুলেছেন এলাকার বাসিন্দারা।