সদস্য সংগ্রহ অভিযানে নেমেছে বিজেপি। কিন্তু একাধিক জায়গায় বিজেপি টার্গেট পূরণ করতে পারেনি। জেলায় জেলায় এনিয়ে টেনশন বাড়ছে গেরুয়া শিবিরে। বিগত দিনে হুগলি লোকসভা কেন্দ্র ছিল বিজেপির দখলে।সেই হুগলিতে বিজেপির সদস্য সংগ্রহের টার্গেট ছিল তিন লাখ।আর এখনও পর্যন্ত মাত্র ৫১ হাজার সদস্য সংগ্রহ করতে পেরেছে বিজেপির জেলা নেতৃত্ব। এটা যথেষ্ট হতাশার কারণ গেরুয়া শিবিরের কাছে। এমনকী সক্রিয় সদস্য সংগ্রহ করার কথা ছিল ৩০০০। সেটা হয়েছে মাত্র ৩৬০জন। সব মিলিয়ে হতাশা একেবারে চরমে।
এদিকে মিঠুন চক্রবর্তী শনিবার সকালে হুগলির পান্ডুয়ায় গিয়েছিলেন এই সদস্য সংগ্রহ অভিযানের কর্মশালায়। সেখানে এই সদস্য সংগ্রহের আপডেট দেখে একেবারেই সন্তুষ্ট নন মহা গুরু। তিনি বলেন, আমি বসের নির্দেশ এসেছি। কিন্তু বসকে কি জবাব দেব? তিনি বলেন, কি জোশ দেখলাম মালা পরানোর জন্য ধূম লেগে গেল। এর আগেও দেখেছি। ভাবলাম কিছু হবে কিন্তু কিচ্ছু হয় না। মিঠুন বলেন, আমাকে ডেকে আনবেন, আমি মুড়ি গুড় খেয়ে প্রচার করব তার রেজাল্ট হবে জিতে যাওয়া সিটে হার। কী লজ্জা! আমি কথা দিয়েছিলাম তাই এসেছি। না হলে পার্টিকে সময় দিয়ে কী লাভ! আমি প্রধানমন্ত্রীকে কথা দিয়েছি। আমাকে কী কী না অফার করেছেন প্রধানমন্ত্রী। আমার বিশ্বাস পার্টি শক্তিশালী হলে সব হবে। বস আমাকে বলে রেখেছেন, নো মার্সি যারা কাজ করছেন না তাদের সরে যেতে হবে। এত জায়গায় ঘুরে এলাম। সব জায়গায় কি জিততে পেরেছি? না কারণ সব জায়গায় আমরা কাজ করতে পারিনি।
মিঠুন বলেন, আগে সব ফেক মেম্বারশিপ ছিল। এখন যেগুলো হচ্ছে সেগুলো সঠিক। এখানে যতগুলো বিধানসভা আমি দেখেছি সবগুলো জেতা আছে। কিন্তু আমরা জিততে পারিনি। তার একমাত্র কারণ নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব বা গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। এটা ভেরি ভেরি স্যাড নিউজ।… বলেন মিঠুন চক্রবর্তী। পাশে তখন বসে রয়েছেন লকেট।
হুগলি লোকসভা কেন্দ্রে এবার পরাজিত হয়েছেন লকেট চট্টোপাধ্য়ায়। জোর লড়াই হয়েছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি জিততে পারেননি। তার জন্য গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকে দায়ী করেছেন মিঠুন।
এদিকে মিঠুনের কথা শুনে অস্বস্তি বিজেপির জেলা নেতৃত্ব। তৃণমূলের অন্দরে দ্বন্দ্বের কথা শোনা যায়। কিন্তু ক্ষমতায় না থেকেই বিজেপির অন্দরে দ্বন্দ্ব। খোদ মিঠুনের মুখে শোনা গেল সেকথা।