রাজ্য সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব নেওয়ার জন্য সংগঠনকে মজবুত করতে জেলায় জেলায় বৈঠক শুরু করেছেন মহম্মদ সেলিম। সম্প্রতি শিলিগুড়িতেও ছিল বৈঠক। সেই বৈঠকে রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের উপস্থিতিতে জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর পদ থেকে ইস্তফা দিলেন এক যুবনেতা। প্রকাশ্যে চলে এসেছে দলের অন্তর্দ্বন্দ্ব।
সিপিএম সূত্রে খবর, শিলিগুড়ি পুরনিগম ভোটে হারের পর থেকে দলে কাজকর্ম থেকে নিজেকে কিছুটা দূরে সরিয়ে রেখেছেন অশোক ভট্টাচার্য। সিপিএমের কর্মী সমর্থকদের একাংশ নিষ্ক্রিয় হয়ে গিয়েছে। শিলিগুড়িতে দলের সদস্য সংখ্যাও কমতে শুরু করেছে। এই পরিস্থিতিতে নতুন জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর মধ্যে কারা জায়গা পাবেন, তা নিয়েই দলের মধ্যে গণ্ডগোল শুরু হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার শিলিগুড়ির বৈঠকে রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের উপস্থিতিতেই পদত্যাগ করেন যুবনেতা পার্থ মৈত্র। আরও সাত জন যুবনেতা অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। পদত্যাগ করলেও প্রকাশ্যে কিছু বলতে চাননি পার্থবাবু।
যুব সংগঠনের নেতা অভিযোগ, প্রবীণরা যুব নেতাদের এড়িয়ে পদ আঁকড়ে পড়ে রয়েছেন। এক নেতার নিজের লোককে জায়গা দিতে গিয়েই প্রবীণ নেতাদের প্রাধান্য দিতে হচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে। এর ফলে দলের একাংশের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। পাশাপাশি জেলা সম্পাদকমণ্ডলী থেকে মুকুল সেনগুপ্ত বাদ পড়া নিয়েও দলের একাংশের মধ্যে অসন্তোষ দানা বেঁধেছে। কিছুদিনের মধ্যে শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের নির্বাচন রয়েছে। তার আগে যুবনেতার পদত্যাগ দলের মধ্যে অস্বস্তি বাড়াবে বলেই মনে করা হচ্ছে।