ফের প্রকাশ্যে এল বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দল। এবার মালদহের চাঁচলে। হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে দলের কর্মীদের একাংশকে। যা নিয়ে প্রবল বাগবিতণ্ডা শুরু হয়েছে গেরুয়া শিবিরে।
দলের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য শেয়ার করার জন্য বিজেপির তরফে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু গত বুধবার ওই গ্রুপ থেকে চাঁচল বিধানসভা কেন্দ্রের অনেক বিজেপি কর্মীরা বেরিয়ে আসতে থাকেন। অনেক বিজেপি নেতার অভিযোগ, বিজেপি কর্মীদের কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। চাঁচোল ১২ নম্বর জেলা পরিষদের মণ্ডল সম্পাদক সন্দীপ পান্ডে অভিযোগ করেন, ‘বুধবার রাতে দেখলাম একজন পদাধিকারী ওই গ্রুপ থেকে বিজেপি কর্মীদের রিমুভ করছেন। আজকে আমরা একটা প্রশ্নের মধ্যে পড়ে গেছি। আমরা একটি ভূমিকা পালন করছি সেটা কারো কারো পছন্দ নাও হতে পারে। তাই হয়তো কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। পুরো বিষয়টি লিখিতভাবে জেলা সভাপতিকে জানাব।’ একই অভিযোগে সরব হয়েছেন বিজেপি নেতা সুদর্শন চক্রবর্তী। এই প্রসঙ্গে তিনি জানান, ‘সকাল থেকে আমরা দেখছি আমাদের গ্রুপ থেকে রিমুভ করা হয়েছে। কিন্তু কী কারণে এই রিমুভ সেটা জানতে চাই।’
উত্তর মালদা সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সভাপতি উজ্জ্বল দত্ত জানান, ‘এরকম কোন বিষয় জানা নেই। বিষয়টি খবর নিয়ে দেখব। অন্যান্য সমস্ত গ্রুপ সক্রিয় আছে। চাঁচোলের ক্ষেত্রে এটা কেন হয়েছে খোঁজ নিয়ে জানাব। বিজেপির এই গোষ্ঠীকোন্দলকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূল। জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র শুভময় বসু জানান, ‘বিজেপির যা অবস্থা দেখা যাবে ওদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে অ্যাডমিন রিমুভ হয়ে যাবে। পশ্চিমবাংলা রাজনীতিতে বিজেপি অচল এটা বারবার প্রমাণিত হচ্ছে।’ গত বিধানসভা ভোটের পর থেকে দফায় দফায় বিভিন্ন জেলায় বিজেপির হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ ছাড়ার হিড়িক পড়ে গিয়েছিল।