অনেকে বলেন, বিয়ে নাকি দিল্লি কা লাড্ডু। যে খেয়েছে সেও পস্তায়, যে খায়নি সেও পস্তায়। আর জলপাইগুড়ির রাকেশ রায়চৌধুরী সেই লাড্ডু খেয়েছে বার বার। এর সঙ্গেই মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে অনন্ত ৩০ থেকে ৩৫ জনের সহবাস করার অভিযোগ তার বিরুদ্ধে। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। বিধাননগরের একটি হোটেল থেকে তাকে গ্রেফতার করেছে সিঙ্গুর থানার পুলিশ।
ঠিক কীভাবে এই বিয়ের ফাঁদ পাতত রাকেশ? প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জেনেছে ফেসবুকের মাধ্যমে বিভিন্ন জনের সঙ্গে সে বন্ধুত্ব পাতাত। কখনও নিজেকে সরকারি চাকুরে, কখনও আবার পর্যটন সংস্থার মালিক পরিচয় দিয়ে সম্পর্ক নিবিড় করত। এরপর একেবারে সরাসরি বিয়ের প্রস্তাব দিত সে। কিছুক্ষেত্রে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস করার অভিযোগও তার বিরুদ্ধে উঠেছে। তবে বার বার জায়গা বদলাত রাকেশ। সম্প্রতি দমদমের বাসিন্দা এক তরুণীর সঙ্গে ফেসবুকে আলাপ হয় রাকেশের। আলাপ জমে উঠলে বিয়ের প্রস্তাব দেয় সে। এরপর একেবারে সিঙ্গুরে নিয়ে পাতানো আত্মীয়স্বজনের উপস্থিতিতে ওই তরুণীকে বিয়ে করে রাকেশ। কিন্তু মাসখানেকের মধ্যে তরুণীর সন্দেহ হয় রাকেশ সম্পর্কে। বিষয়টি জানাজানি হতেই ওই তরুণীর উপর অত্য়াচার শুরু করে সে। এরপরই সোজা সিঙ্গুর থানায় রাকেশর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন ওই তরুণী। তদন্তে নেমে সিঙ্গুর থানার পুলিশ তার মোবাইল ট্র্যাক করে। তারপর বিধাননগরের একটি হোটেল থেকে তাকে গ্রেফতার করে। তবে পুলিশ জেনেছে আগে একটি ধর্ষণের মামলায় বছর খানেক জেলও খেটেছে সে। বিভিন্ন থানায় তার নামে অভিযোগ রয়েছে। জায়গা বদল করে একের পর এক বিয়ে ও সহবাস করার অভিযোগ তার বিরুদ্ধে উঠেছে।