হাই কোর্টের নির্দেশে ১০০ দিনের কাজের দুর্নীতি নিয়ে তদন্ত শুরু করলেন বিডিও। সম্প্রতি মালদহের চাঁচলে ১০০ দিনের কাজে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে পঞ্চায়েত প্রধান ও উপপ্রধানের বিরুদ্ধে। গত নভেম্বর মাসে এই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তের নির্দেশ দেয় হাই কোর্ট। সেইমতোই তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু হল।
মালদহের চাঁচল ১ নম্বর ব্লকের খরবা গ্রামে পঞ্চায়েত প্রধান, উপপ্রধান ও পঞ্চায়েত কর্মীদের বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এলাকায় কলাগাছ, আম গাছ লাগানোর নাম করে লুঠপাট করেছে পঞ্চায়েত প্রধান ও পঞ্চায়েত কর্মীরা। মৃতদের নামে জব কার্ড করে টাকা তোলা হয়েছে। পাশাপাশি জাল বিল করে কোটি কোটি টাকা আত্মসাত করা হয়েছে। এলাকার পঞ্চায়েতের বিরোধী দলনেতা একাধিক বার এই বিষয়ে বিডিওকে জানিয়েছিলেন। কিন্তু তাতে কোনও কাজ হয়নি। শেষ পর্যন্ত গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। এরপর হাই কোর্ট তদন্তের নির্দেশ দেয়। হাই কোর্টের নির্দেশ পাওয়ার পর তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু করেছেন এলাকার বিডিও সমীরণ ভট্টাচার্য।
দুর্নীতি প্রসঙ্গে পঞ্চায়েতের বিরোধী দলনেতা মুরতুজ আলম জানান, কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি করা হয়েছে। এমনকি সই পর্যন্ত জাল করা হয়েছে। তদন্ত হলে মানুষ সঠিক বিচার পাবে। যদিও যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পঞ্চায়েত প্রধান পারবিনা খাতুনের স্বামী মংলু শেখ। তাঁর মতে, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হচ্ছে। বিডিও সাহেব তদন্ত করলেই সঠিক তথ্য বেরিয়ে আসবে।