সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে ফের সামনে আসছে নদী ভাঙন ইস্যু। এবার উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ারে গিয়ে নদী ভাঙন নিয়ে কার্যত বিজেপি সাংসদ, বিধায়কদের ঘাড়ে দায় চাপিয়ে দিলেন সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, কেন্দ্র সহায়তা যদি করত তবে আলিপুরদুয়ারে এই নদী ভাঙনের সমস্যা থাকত না। কিন্তু এখানকার যিনি সাংসদ, বিধায়ক আছেন তারা আজ অবধি নিজের এলাকার মানুষদের বাঁচানোর জন্য কেন্দ্রের সাহায্য চেয়ে একটা চিঠিও দেননি। মানুষ ওনাদের ভোট দিয়েছেন। একটা চিঠি অন্তত দিন। আমরা নদী ভাঙনের কথা বলছি। সেচের জন্য মুখ্যমন্ত্রী যা করার করছেন। আমরা দায়িত্ব নিয়ে বলছি ওরা চিঠি লিখে যদি কেন্দ্রীয় সহায়তা আনতে পারেন তবে রাজ্য সরকার প্রস্তুত আছে নদী ভাঙনের হাত থেকে এলাকার মানুষকে বাঁচাতে।
সেচমন্ত্রী বলেন, গঙ্গা ভাঙন নিয়ে দুবার মুখ্যমন্ত্রী চিঠি দিয়েছেন। আমরা সদর্থক কোনও ভূমিকা দেখিনি। আমি আলিপুরদুয়ারের সাংসদ, বিধায়করা চিঠি লেখেননি কেন্দ্রের কাছে। ব্রহ্মপুত্র কমিশনে খালি আলোচনা হয়েছে। আজ পর্যন্ত সদর্থক ভূমিকা নেননি।
এদিন শিলিগুড়িতে গিয়ে মেয়র গৌতম দেবের সঙ্গেও দেখা করেন সেচমন্ত্রী।
এদিকে এনিয়ে আলিপুরদুয়ারের বিজেপি বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল বলেন, সেচমন্ত্রী নতুন এসেছেন। তাঁর জানা উচিত বিধানসভায় আমি বার বার সরব হয়েছি। আমি নদী ভাঙনের ভয়াবহতার কথা বার বার বলেছি। বেশিরভাগ ভাঙন হচ্ছে ভুটান পাহাড় থেকে নেমে আসা নদীর জন্য। ইন্দো ভুটান যৌথ নদী কমিশনের দাবি বার বার তুলেছি। এজন্য রাজ্যকে উদ্যোগী হতে হবে। কিন্তু রাজ্য সরকার কোনও উদ্যোগ নেয়নি। কেন ওরা দিল্লিতে প্রতিনিধিদল পাঠাননি?