ভুটান থেকে জল নেমে আসছে। যা অনেক ক্ষতি করে দিচ্ছে। কিন্তু এটা আন্তর্জাতিক বিষয়। তাই রাজ্যের পক্ষে আটকানো সম্ভব নয়। তাই বিষয়টি নিয়ে ভুটানের সঙ্গে কথা বলতে কেন্দ্রীয় সরকারকে বারবার চিঠি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কোনও উদ্যোগ চোখে পড়ছে না বলে প্রশাসনিক ভবন ডুয়ার্সকন্যায় উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের পর সাংবাদিক সম্মেলনে অভিযোগ করলেন সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক। এমনকী ব্রহ্মপুত্র বোর্ড রাজ্যকে টাকা দিচ্ছে না বলেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন সেচমন্ত্রী।
ঠিক কী বলেছেন সেচমন্ত্রী? এই সমস্যা নিয়ে সংবাদমাধ্যমে সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক বলেন, ‘আলিপুরদুয়ারে ভুটান পাহাড় থেকে জল নেমে এসে আমাদের অনেক ক্ষতি করে দিচ্ছে। ভুটানের জল আমরা আটকাতে পারছি না। কিন্তু এটা আন্তর্জাতিক বিষয়। রাজ্যের পক্ষে এটা নিয়ে কিছু করা সম্ভব নয়। তাই ভুটানের সঙ্গে কথা বলতে কেন্দ্রকে রাজ্য থেকে বারবার চিঠি দেওয়া হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত কোনওরকম উদ্যোগ আমাদের চোখে পড়ছে না। উত্তরবঙ্গে বন্যা নিয়ন্ত্রণে ব্রহ্মপুত্র বোর্ড রাজ্যকে টাকা দিচ্ছে না। এটা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রকে বারবার জানিয়েছেন। কিন্তু তারপরেও রাজ্যকে টাকা দেওয়া হচ্ছে না। রাজ্যের সঙ্গে বৈষম্য করা হচ্ছে।’
নদীভাঙন নিয়ে কী ব্যবস্থা হচ্ছে? এদিন তাঁর দফতরের প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনকে পাশে নিয়ে সেচমন্ত্রী পার্থবাবু বলেন, ‘আলিপুরদুয়ারে নদীভাঙন কীভাবে প্রতিরোধ করা যায় তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। কৃষিজমিতে সেচের জল পৌঁছে দিতে সেচ ক্যানেলগুলিও সংস্কার করা হবে। জেলার মজে যাওয়া ১৮টি সেচখাল সংস্কারের জন্য প্রস্তাব এসেছে।
আর কী জানা যাচ্ছে? এদিন সেচমন্ত্রী কালচিনির দলসিংপাড়ায় তোর্সা–সহ জেলার কয়েকটি ব্লকে নদীর ভাঙনও সরেজমিন পরিদর্শন করেন। এদিন ডুয়ার্সকন্যায় বৈঠকে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এসজেডিএ’র চেয়ারম্যান সৌরভ চক্রবর্তী, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন পর্ষদের ভাইস চেয়ারম্যান মৃদুল গোস্বামী, তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি প্রকাশচিক বরাইক এবং সেচদফতরের আধিকারিকরা।