এবারের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের প্রচারের বড় হাতিয়ার ছিল দুয়ারে রেশন ব্যবস্থার প্রতিশ্রুতি। একেবারে ঘরে ঘরে রেশন পৌঁছে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তাবড় তৃণমূল নেতৃত্ব। এরপর তা নিয়ে ফলাও করে প্রচারও করেন তৃণমূল নেতৃত্ব। কিন্তু নির্বাচনী বৈতরণী তো পেরিয়ে গিয়েছে ঘাসফুল শিবির। সরকারও তৈরি হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এবার কী হবে। সেই সংশয়টাই জোরালো হচ্ছে আমজনতার মধ্যে। এদিকে বাস্তবের মাটিতে সেই দুয়ারে রেশন প্রকল্প করার ক্ষেত্রে সুবিধা ও অসুবিধার দিকটি খতিয়ে দেখতে চাইছে খাদ্য দফতর। খাদ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে. পাইলট প্রজেক্ট চালু করার আগে আপাতত পরীক্ষামূলকভাবে প্রজেক্টের নানা দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। খাদ্য দফতর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোনও একটি লোকালয়কে প্রাথমিকভাবে বেছে নেওয়া হচ্ছে। সেই গ্রামের আওতায় থাকা কোনও একটি সরকারি জায়গা থেকেই রেশন দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। পুরোটাই হচ্ছে একেবারেই পরীক্ষামূলকভাবে। বৃহস্পতিবার উত্তর ২৪ পরগণার বারাসত বিবেকানন্দ বিদ্যাপীঠ চত্বরে বারাসত পুরসভার পুরপ্রশাসক সুনীল মুখোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে রেশন বণ্টনের এই পরীক্ষামূলক উদ্যোগ শুরু হয়েছে। একেবারে দূরত্ব বিধি মেনে ২৫টি পরিবারের হাতে চাল, গম, আটা পৌঁছে দেওয়া হয় এদিন।
তবে খাদ্য দফতরের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, পাইলট প্রজেক্ট চালু হয়ে গিয়েছে বলে বিভিন্ন জায়গায় প্রচার করা হচ্ছে। এটা ঠিক নয়। পাইলট প্রজেক্ট চালুর আগে তার নানা দিক খতিয়ে দেখতে হয়। সেই পর্যালোচনা রিপোর্ট উপরমহলে পাঠানো হবে। রেশন দোকান বাদ দিয়ে গ্রামের একটি নির্দিষ্ট জায়গা থেকে রেশন দিলে সুবিধা ও অসুবিধার নানা দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।