কয়েকদিন আগেই হাওড়ার জগৎবল্লভপুরের মুন্সিরহাট বাজার, স্টেশন সংলগ্ন এলাকা, এমনকী মাকড়দহ এলাকা ছেয়ে যায় ‘আমরা দাদার অনুগামী’ পোস্টারে। রাতারাতি শুভেন্দু অধিকারীর ব্যাপ্তি ছড়িয়ে পড়ে হাওড়া জুড়ে। কয়েকদিন ধরেই প্রশ্ন উঠছে, তা হলে কি দলবদল করতে চলেছেন তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী? যদিও সেই জল্পনায় জল ঢেলেছেন তৃণমূলের আরও এক গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী।
হাওড়া জুড়ে যে সব পোস্টার পড়েছে তার কোনওটাতে তাঁকে ‘বাংলার মুক্তিসূর্য’ হিসেবে সম্বোধন করা হয়েছে। আবার কোনও পোস্টারে তাঁকে আখ্যা দেওয়া হয়েছে ‘নব দিশারী’ রূপে। শনিবার এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হলে রাজ্যের সমবায়মন্ত্রী অরূপ রায় বলেন, ‘কারা এই সমস্ত হোর্ডিং লাগিয়েছে জানি না। তাতে মুখ্যমন্ত্রী তথা দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি নেই কিনা দেখিনি।’
সাংবাদিকদের তরফ থেকে মন্ত্রী অরূপ রায়কে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেওয়া হয়— শুভেন্দু কি তৃণমূল ছাড়তে চলেছেন? সেই জল্পনাকে কার্যত নস্যাৎ করে অরূপ রায় বলেন, ‘এর মধ্যেই শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন যে তিনি দলের মধ্যেই আছেন। দলের সদস্য হিসেবে আছেন। মন্ত্রিসভায় আছেন। সুতরাং এই নিয়ে আমি নতুন করে কোনও বিতর্ক তৈরি করতে রাজি নই।’
রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ‘দাদার অনুগামী’দের পোস্টার ছড়িয়ে পড়ছে। তাতে শুধু শুভেন্দু অধিকারীর মুখ। এ ব্যাপারে অরূপ রায় এদিন আরও বলেন, ‘আমরা দাদার অনুগামী— এই নাম নিয়ে কারা এসব করছে আমার জানা নেই। এর পিছনে বিজেপি–র হাত রয়েছে কিনা তাও বলতে পারব না। খতিয়ে দেখতে হবে।’ এদিকে, জগৎবল্লভপুর পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি তথা তৃণমূল নেতা শেখ মহম্মদ ইব্রাহিম (গোরা) এ ব্যাপারে বলেছেন, ‘আমাদের কর্মীদের মধ্যে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করতে এটা বিজেপি–র পরিকল্পিত চক্রান্ত।’