জঙ্গলমহলে বনধের ডাক দিয়েছিল মাওবাদীরা। অযোধ্য়া পাহাড়ের বিভিন্ন এলাকায় বনধের সমর্থনে পড়েছিল পোস্টার। সুরক্ষা বাহিনীর বিরুদ্ধে নানা অত্যাচারের অভিযোগ তুলে, মাওবাদী দলের সদস্য রিমিল ও বিপ্লবদের মৃত্যুর বদলার দাবিতে বনধের ডাক দিয়েছিল মাওবাদীরা। এদিকে এই কর্মসূচির কথা চাউড় হতেই পুলিশ, প্রশাসনও তটস্থ হয়ে যায়। বিভিন্ন জায়গায় নিরাপত্তা ব্য়পকভাবে বাড়িয়ে দেওয়া হয়। কোথায় কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না হয় সেব্যাপারেও নজরদারি চলতে থাকে পুরোদমে। কোটশিলা স্টেশন ও সংলগ্ন এলাকায় সিসি ক্যামেরার মাধ্যমেও নজরদারি শুরু হয়ে যায়।
তবে মঙ্গলবার দিনভর পুরুলিয়ার বাঘমুন্ডি, ঝালদা, বাঁকুড়া ও ঝাড়গ্রামের বিস্তীর্ণ জঙ্গলমহলের বিভিন্ন এলাকা স্বাভাবিক ছন্দেই ছিল। বনধের তেমন কোনও প্রভাব পড়েনি। দোকানপাট, বাজার অন্যান্যদিনের মতোই খোলা ছিল। সরকারি ও বেসরকারি যাত্রী পরিবহণ অন্যান্যদিনের মতোই চলাচল করেছে। তবে বিভিন্ন এলাকায় পুলিশি নজরদারি ছিল চোখে পড়ার মতো। পুলিশ বিভিন্ন এলাকায় টহলদারিও চালায়। মূলত কোথাও যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে যায় সেটা নিশ্চিত করাটাই ছিল পুলিশ, প্রশাসনের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ।
এদিকে স্থানীয় সূত্রে খবর. বাঘমুন্ডি, কোটশিলা, ঝালদা সহ জঙ্গলমহলের বিস্তীর্ণ এলাকায় বিগতদিনে মাওবাদীদের যথেষ্ট প্রভাব ছিল। তবে বর্তমানে সেই দাপট অনেকটাই কমেছে। অনেকেই জঙ্গি সংগঠন ছেড়ে সমাজের মূল স্রোতে চলে এসেছেন। তবুও মাওবাদীদের ডাকা বনধের কথা শুনলেই এখনও কোনও ঝুঁকি নিতে চায় না পুলিশ প্রশাসন।