মেখলিগঞ্জ-তুফানগঞ্জের তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক অর্ঘ্য রায় প্রধান কি এবার বিজেপিতে যোগ দেবেন? লোকসভা ভোটের আগে এনিয়ে নয়া জল্পনা ছড়িয়েছে। সূত্রের খবর, কোচবিহারে তৃণমূলের রাজনীতিতে ইদানিং একেবারেই কোণঠাসা হয়ে রয়েছেন অর্ঘ্য রায় প্রধান। তার জেরেই কি এবার তিনি পদ্ম শিবিরে যোগ দেবেন? তৃণমূলের অন্দরে কান পাতলেও এনিয়ে নানা কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে।
একাধিক সূত্রের খবর, অর্ঘ্য় রায় প্রধান বর্তমানেও তৃণমূলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। দুবারের বিধায়ক। কিন্তু ইদানিং দলের একাধিক কর্মসূচিতে তাঁকে বিশেষ দেখা যায় না। তাঁর পিতা অমর রায় প্রধান ছিলেন সাতবারের এমপি। বাম আমলে অত্যন্ত জনপ্রিয় নেতা ছিলেন অমরবাবু। কিন্তু তাঁর পুত্র অর্ঘ্য় রায় প্রধান তৃণমূলে এলেও সেভাবে দলের অন্দরে গুরুত্ব পাননি। কার্যত দলের অন্দরে কোণঠাসা হয়ে গিয়েই কি তিনি এবার বিজেপিতে যোগ দিতে চান?
তবে এনিয়ে সরাসরি তাঁর কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে জেলা তৃণমূল সূত্রে খবর, দিন কয়েক আগেই অর্ঘ্য রায় প্রধানকে নিয়ে জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান ও দলের জেলা সভাপতি বৈঠক করেছিলেন। সেখানে অর্ঘ্যবাবুকে এনিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি সেই সময় জেলা তৃণমূল নেতৃত্বকে জানিয়ে দিয়েছিলেন, যে খবরগুলি রটছে তা একেবারেই ভুয়ো।
তবে জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশ অবশ্য় এনিয়ে পুরোপুরি সংশয়মুক্ত হতে পারছেন না। কোচবিহার জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান গিরীন্দ্রনাথ বর্মন হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে জানিয়েছেন, এনিয়ে আমাদের কাছে কোনও খবর নেই। কিছু বলতে পারব না।
তবে জেলা তৃণমূলের অন্দরে চান পাতলে অবশ্য় নানা কথা শোনা যাচ্ছে। আসলে দলের অন্দরে গুরুত্ব না পাওয়ার বিষয়টিকে একেবারেই মানতে পারছেন না অর্ঘ্যবাবু। অন্য়দিকে সামনেই লোকসভা নির্বাচন। তার আগে মেখলিগঞ্জের অর্ঘ্য রায় প্রধান বিজেপিতে গেলে জলপাইগুড়ি থেকে তাঁর গেরুয়া শিবিরের প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা উজ্জ্বল হতে পারে।
তৃণমূলের এক জেলা নেতৃত্বের কথায়, আসলে পদের জন্য এই দলবদলের কথা কেউ কেউ ভাবছেন। কিন্তু এসব করে কিছু হবে না। অর্ঘ্য রায় প্রধানের বিজেপিতে যোগদান নিয়ে যে জল্পনা সেটা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না।